স্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির লোকদের গঞ্জনাকে নিষ্ঠুরতা হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। এটি পারিবারিক জীবনের অঙ্গ। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ১৪ বছর সংসার করার পরে স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের ওই মামলার কিছু দিন পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে মামলা করেন স্ত্রী। ওই মামলা খারিজের নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি চলছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “দাম্পত্য কলহের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যখন বহুদিন বৈবাহিক সম্পর্কের পরে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে এবং তা-ও এক জন বিচ্ছেদের মামলা করার পরে, তখন আদালতের উচিত সেগুলির বিষয়ে সতর্ক থাকা। সে ক্ষেত্রে অভিযোগগুলি সত্য কি না বা সেগুলির নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
এই মামলার ক্ষেত্রে ২০০৫ সালে দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। ওই মামলায় স্ত্রীকে সমন পাঠাোর তিন দিন পরেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলা খারিজের আর্জিতে এর আগে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্ট মামলাটি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সঠিক ভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগের পর্যাপ্ত সুনির্দিষ্ট বিবরণ নেই। অভিযোগকারী মহিলা মামলা দায়েরের কয়েক বছর আগে থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলিকে ‘অস্পষ্ট’ বলে মনে করছে আদালত। তাই ওই অভিযোগগুলি খারিজ করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।