হামলা হয়েছিল দু’তরফেই। প্রাথমিক তদন্ত এবং সম্প্রতি হাতে পাওয়া কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর এমনই দাবি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, বায়ুসেনার বাঙালি আধিকারিক শিলাদিত্য বসু শুধু আক্রান্ত হননি, তিনিও হামলাকারীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বায়ুসেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) দেবরাজ ডি জানিয়েছেন, এই ঘটনাটিকে যে ভাবে কন্নড় বনাম বহিরাগতদের গন্ডগোল বলে দাবি করা হচ্ছে, এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটি গাড়ি নিয়ে রেষারেষির ঘটনার জের। প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। তার পর সেই তর্কাতর্কি হাতাহাতিতে পৌঁছোয়। দু’পক্ষই পরস্পরকে আক্রমণ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বায়ুসেনা আধিকারিককে হামলার অভিযোগ উঠেছে যাঁর বিরুদ্ধে, সেই ব্যক্তিও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলাকারী বিকাশ কুমারের অভিযোগ, বায়ুসেনা আধিকারিক তাঁকে ধাক্কা মারেন। তাঁর ঘাড় চেপে ধরেন। আধিকারিকের স্ত্রী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পথচারীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাঁদের দু’জনকেই সরিয়ে দেন। কিন্তু বায়ুসেনা আধিকারিক তাঁর মুখে আঘাত করেন। তাঁকে ফুটপাথে ফেলে দেন। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত বিকাশ দাবি করেছেন, বায়ুসেনা আধিকারিকের স্ত্রী তাঁকে লক্ষ্য করে মন্তব্য ছুড়ে দেন। তার পর তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন এই ধরনের মন্তব্য করছেন। তার পর বায়ুসেনা আধিকারিককেও একই প্রশ্ন করেন। আর তার পরই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ডিসিপি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো তাঁদের হাতে এসেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বায়ুসেনা আধিকারিক শিলাদিত্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মধুমিতা দত্ত। তিনি বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার। সেই সময় তাঁদের উপর একদল কন্নড়ভাষী চড়াও হন বলে অভিযোগ। বায়ুসেনা আধিকারিককে মারধরের ঘটনার পরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। তার পরই গ্রেফতার করা হয় বিকাশ নামে এক অভিযুক্তকে।