অশোক তানওয়ার। ছবি সংগৃহীত।
গোয়ার পরে এ বার হরিয়ানাতেও কংগ্রেসকে কমজোর করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এমন অভিযোগেই সরব হচ্ছে সনিয়া গাঁধীর দল।
অন্য দিকে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য দু’টি। প্রথমত, তাঁরা কাউকে যেচে ডাকছে না। বিভিন্ন কারণে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে ভরসা করে আসতে চাইছে, তাঁদেরই নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য সব দলের মতোই তৃণমূলেরও অভিপ্রায় এবং অধিকার রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ানোর। কংগ্রেস অসন্তুষ্ট হবে, সে কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকার প্রশ্নই উঠছে না।
তৃণমূলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিপুল ভাবে বিজেপিকে পরাজিত করার পরে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দেশে প্রধান বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, একদা রাহুল ঘনিষ্ঠ তানওয়ার এখন আর কংগ্রেসে নেই ঠিকই, কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর কংগ্রেসি নেটওয়ার্ক অত্যন্ত ভাল। তিনি যুব কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে গোয়া, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নিজের ভিত তৈরি করেছিলেন, যা এখনও অনেকটাই অক্ষত। এ বার তাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। একদা হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল অশোকের। দু’জনে সমবয়সীও। তৃণমূলের বক্তব্য, এই ঘটনায় তিনিও কিছুটা চাপে পড়বেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী হরিয়ানায় কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বকেও কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy