মঙ্গলবার আদালত থেকে বেরনোর পথে সাধ্বী প্রজ্ঞা। ছবি: পিটিআই।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে চার্জ গঠন করল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর এবং আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ও অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
২০০৮ সালের মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে মঙ্গলবার চার্জ গঠন করেন মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক বিনোদ পড়লকর।
ইউএপিএ ধারা ছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং খুনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত এবং সাধ্বী প্রজ্ঞা ছাড়া মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি। বিচারক চার্জ গঠন করার সময় আদালত কক্ষে হাজির ছিলেন সকলেই। চার্জ গঠন হলেও, অভিযুক্তদের শুনানি শুরু হতে দেরি আছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে এত দুর্নীতি যে গুলিয়ে ফেলেছিলাম’ শিবরাজের মামলার হুমকিতে বললেন রাহুল
আরও পড়ুন: দন্তেওয়াড়ায় ফের মাও হানা, নিহত দূরদর্শনের ক্যামেরাম্যান, দুই নিরাপত্তা কর্মী
তবে আদালত চার্জ গঠন করায় ফুঁসে উঠেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। সেখানে হাজির সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‘‘এর আগে আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছিল এনআইএ। এখন আবার চার্জ গঠন করা হল। গোটা বিষয়টাই কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র ছিল। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারব বলে নিশ্চিত আমি। কারণ শেষমেষ সত্যেরই জয় হয়।’’
চার্জ গঠনে স্থগিতাদেশের জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত এবং বাকি অভিযুক্তরা। তবে সোমবার বম্বে হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়। যদিও পরের মাসে কর্নেল পুরোহিতের আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয় বিচারপতি এসএস শিন্দে এবং এএস গডকরির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁকে ইউএপিআই-র আওতা থেকে রেহাই দেওয়া যায় কিনা তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে, ২১ নভেম্বরের মধ্যে কর্নেল পুরোহিতের আবেদনের জবাব আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এনআইএ-র আইনজীবী সন্দেশ পাটিলকে।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে, উত্তর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একটি মোটর সাইকেলে বোমা বেঁধে রাখা হয়েছিল। প্রচণ্ড তীব্রতায় বিস্ফোরণ ঘটলে তাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন ১০০ জন। তদন্ত শুরু হলে বিস্ফোরণের পিছনে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতাদের হাত রয়েছে বলে দাবি করে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন বাহিনী। গ্রেফতার হন সাধ্বী প্রজ্ঞা। যে মোটর সাইকেলে বোমা বেঁধে রাখা হয়েছিল, সেটি তাঁর বলে অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়াও নাম জড়ায় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীদেরও। কর্নেল পুরোহিত এবং সমীর কুলকার্নিকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার পর এক দশক পেরিয়ে গেলেও, এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy