Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগুনে ছাই ফ্যান্সি বাজারের অর্ধেক

দেওয়ালি উপলক্ষে আলোয় সেজেছিল সব দোকান, শো-রুম। পুজোর মরশুম, সামনে শীত- তাই কাপড়ের দোকানগুলিতে অনেক বেশি করে মাল মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু আতসবাজির উৎসবের মধ্যেই অন্ধকার নেমে এল ফ্যান্সিবাজারে। গুয়াহাটি তথা অসমের সবচেয়ে বড় এই বাজারে গত কাল রাতে আগুন লাগে।

‘স্কাই লিফ্‌ট’ ব্যবহার করে ফ্যান্সি বাজারে আগুন নেভানোর চেষ্টা। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

‘স্কাই লিফ্‌ট’ ব্যবহার করে ফ্যান্সি বাজারে আগুন নেভানোর চেষ্টা। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৫
Share: Save:

দেওয়ালি উপলক্ষে আলোয় সেজেছিল সব দোকান, শো-রুম। পুজোর মরশুম, সামনে শীত- তাই কাপড়ের দোকানগুলিতে অনেক বেশি করে মাল মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু আতসবাজির উৎসবের মধ্যেই অন্ধকার নেমে এল ফ্যান্সিবাজারে। গুয়াহাটি তথা অসমের সবচেয়ে বড় এই বাজারে গত কাল রাতে আগুন লাগে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ ঘণ্টা কেটে যায়। ব্যবসায়ীদের চোখের সামনে জ্বলে যায় একের পর এক কাপড়, আসবাব, বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান। রাতভর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দোকান মালিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সকালে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানগুলি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রশাসনের মতে সাম্প্রতিক কালে এত বড় অগ্নিকাণ্ড অসমে হয়নি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি ছাড়াবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রথমে একটি বহুতল মলের পাশে নিউ মার্কেটে প্রথম আগুন ধরে। দ্রুত আগুন ছড়ায় রাধা মার্কেট-সহ অন্যান্য বাজারে। পুরনো ধাঁচের কাঠের কাঠামো থাকা দোকানগুলি ভস্মীভূত করে পাকা দোকানে হানা দেয় আগুনের শিখা। দমকল এলেও গাড়িগুলিতে পর্যাপ্ত জল না থাকায় প্রথম দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়া আটকানো যায়নি। কয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ায় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। অধিকাংশ দোকানে রাসায়নিক, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, প্লাস্টিক থাকায় আগুন নেভাতে ‘ফোম’ প্রয়োজন ছিল— যা জোগাড় করতে অনেক সময় নেয় দমকল। পুলিশ কমিশনার মুকেশ অগ্রবাল, জেলাশাসক এম আঙ্গামুথু ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানো ও পরিস্থিতি সামলানোর কাজ তদারক করেন।

আজ সকালে পাশের আবাসনেও আগুন ছড়ায়। । ‘স্কাই লিফ্‌ট’ ব্যবহার করে লেলিহান, নাছোড় আগুনের সঙ্গে লড়াই চালায় দমকল। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, জেলাশাসক, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আঙ্গমুথুরা ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন। আশপাশের বাড়ি থেকে আবাসিকদের সরানো হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ও দমকল বিভাগের সন্দেহ বাজির আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে দোকানদারদের একাংশ অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপক চৌধুরী ঘটনার তদন্ত করবেন। অন্য দিকে, মাজুলিতে ঘুনুসাবাড়ি এলাকায় বাজির আগুনে নরেন শর্মা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন লাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

guwahati fancy bazar fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE