নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি। কিন্তু মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকরের দল ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ী’ (ভিবিএ)-র তরফে শনিবার প্রথম দফায় ১১ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল। এর ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম (জনসংখ্যার নিরিখে) রাজ্যে বিরোধী মহাজোটের সম্ভাবনা কার্যত ইতি হয় গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)-র জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ (এমভিএ)-র তরফে লোকসভা ভোটের আগেও দফায় দফায় প্রকাশের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধী মহাজোট গড়ার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট কবে হবে, তা নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা শুরু করলেন প্রকাশ। মরাঠওয়াড়া, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে দলিত জনগোষ্ঠীর উপর প্রভাব রয়েছে প্রকাশের। একদা কংগ্রেসের সহযোগী ছিলেন তিনি। অকোলা থেকে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে দু’বার লোকসভা ভোটেও জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর সঙ্গে জোট গড়েছিলেন প্রকাশ। নিজে শোলাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও পেয়েছিলেন এক লক্ষ ৭০ হাজার ভোট। এ বার অকোলায় একক শক্তিতে লড়ে ২ লক্ষ ২৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। অঙ্কের হিসাবে ২৩ শতাংশ। লোকসভা ভোটের হিসাব বলছে, প্রকাশ বিরোধী জোটে শামিল হলে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপির ‘মহাজুটি’ আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ত।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা, শরদ পওয়াপন্থী এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জিতেছে ৩০টিতে। শাসক ‘মহাজুটি’র ঝুলিতে মাত্র ১৭। বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনস)-ও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-কে। তবুও বিপর্যয় এড়ানো যায়নি। সে কারণেই গত দু’দশক ধরে মহারাষ্ট্র হরিয়ানার বিধানসভা ভোট একসঙ্গে অক্টোবরে হলেও এ বার তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।