তিনি বেঁচে আছেন। আর নিজেকে সরকারের কাছে জীবীত প্রমাণ করতে দফতরে দফতরে ছুটে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডৌরি জেলার এক যুবক। আট বছর আগে সরকারি খাতায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিনয় কুমার।
জানা গিয়েছে, আট বছর আগে করঞ্জিয়া গ্রাম পঞ্চায়তের আধিকারিক এবং কর্মীরা বিনয়কে মতৃ বলে ঘোষণা করে দেন। বিনয় যে সরকারের চোখে ‘মৃত’ তা জানতেও পারেননি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীর নাম নিজের পরিচয়পত্রের সঙ্গে জুড়তে গিয়েই। বিনয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি আট বছর আগেই মারা গিয়েছেন। তালিকা থেকে তাঁর নাম কাটা গিয়েছে। তাই স্ত্রীর নাম তাঁর পরিচয়পত্রের সঙ্গে জোড়া যাবে না। নিজের মৃত্যুর কথা শুনে থ হয়ে যান বিনয়।
আরও পড়ুন:
বিনয় জানিয়েছেন, সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে স্ত্রীর নাম নিজের পরিচয়পত্রের সঙ্গে জুড়তে গিয়েছিলেন। তখন সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় ২০১৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্রও তাঁদের কাছে রয়েছে। তার পর থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণে কখনও পঞ্চায়েত অফিসে, কখনও বিডিও অফিসে, আবার জেলাশাসকের দফতরে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তাদের কাছে নিজের যাবতীয় নথি দেখিয়ে বিনয় প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে, তিনি জীবিত। অভিযোগ, তাঁর এই আর্জি কারও কানেই পৌঁছোচ্ছে না। বিনয় জানাচ্ছেন, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চাইছেন। কিন্তু সরকারের খাতায় মৃত ঘোষণা করায় সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।