বাবা-মা কোথায়? কেন ওঁরা বাড়ি ফিরছে না? ১৯ মার্চের পর থেকে বাবা-মাকে দেখতে না পেয়ে দিদিমা কবিতা রস্তোগীর কাছে বার বার এই প্রশ্নই করে চলেছে সৌরভ রাজপুত-মুস্কান রস্তোগীর ছ’বছরের কন্যা পিহু। তার দিদিমা বার বারই নাতনিকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বাবা-মা লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছেন। ফিরে এলেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু দিদিমার উত্তরে মন গলছে না পিহুর।
দিদিমাকে পাল্টা সে বলছে, ‘‘তোমরা মিথ্যা কথা বলছ। বাবা-মা লন্ডনে যায়নি। ওরা আর ফিরে আসবে না। বাবা ড্রামের ভিতরে রয়েছে। বাবা তারা হয়ে গিয়েছে। মাকে পুলিশকাকু নিয়ে গিয়েছে।’’ এক সংবাদমাধ্যমকে মুস্কানের মা এবং তাঁর বাবা এ কথাই জানিয়েছেন। নাতনির প্রশ্নের উত্তর কী দেবেন সেটাও ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
কবিতা জানিয়েছেন, ৩ মার্চ থেকে পিহু তাঁদের কাছেই রয়েছে। মা-বাবাকে দেখতে না পেয়ে কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকছে। কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলতে চাইছে না। তার উপর বাড়িতে পুলিশ, সাংবাদিকদের ঘন ঘন যাতায়াত, নানা রকম প্রশ্ন ইত্যাদি দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছে সে। টিভিতে মুস্কান এবং সৌরভকে বার বার দেখাচ্ছে। পিহু বুঝতে পারছে না ঠিক কী হয়েছে। তাই বার বার প্রশ্ন করছে। কবিতা আরও জানান, টিভিতে এই খবর দেখানোয় পিহুর কারণে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কবিতা জানান, কলিং বেল বাজলেই পিহু বার বার দরজার দিকে ছুটে যাচ্ছে। আর বলছে, ‘ওই তো বাবা-মা এসে গিয়েছে।’ কিন্তু দরজা খুলতেই পুলিশ, সাংবাদিকদের দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণত পিহু আমাদের বাড়িতে থাকলে সৌরভ ভিডিয়ো কলে ওর সঙ্গে কথা বলত। মুস্কান কলিং বেল বাজালেই পিহু ছুটে যেত ওর কাছে। কিন্তু এখন ভিডিয়ো কলে বাবার সঙ্গে কথা বলতে না পেরে বার বার প্রশ্ন করছে, ‘বাবা কোথায়, কেন ফোন করছে না, মা কেন আসছে না?’’’ কবিতা জানিয়েছেন, কী ভাবে নাতনিকে বোঝাবেন যে, এই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁদের কাছে নেই। তাই নাতনিকে নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছেন তাঁরা।
গত ১৮ মার্চ সৌরভের টুকরো করা দেহ উদ্ধার হয় ড্রামের ভিতর থেকে। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুস্কান এবং প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।