১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দামু’ ছবিটি সেরা শিশুচলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার জেতে। সেই ছবির পরিচালক রাজা সেন। তাঁর কেরিয়ারে একাধিক চর্চিত ছবি রয়েছে। টলিপাড়ার বর্ষীয়ান পরিচালক আরও এক বার পরিচালকের আসনে বসতে ইচ্ছুক। কিন্তু তিনি নাকি কোনও প্রযোজক পাচ্ছেন না!
আরও পড়ুন:
ইন্ডাস্ট্রির একজন চর্চিত পরিচালক হিসেবে সমস্যা কোথায়? আনন্দবাজার ডট কমের তরফে যোগাযোগ করা হলে রাজা বললেন, ‘‘আমি আবার পরিচালনায় ফিরতে চাই। অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও প্রযোজক পাচ্ছি না।’’ অনেক সময়ে গল্পের অভাবেও কোনও কোনও পরিচালক প্রত্যাবর্তনে সময় নিয়ে থাকেন। রাজার কথায়, ‘‘দর্শক জানেন, এক সময়ে আমি নানা ধরনের ছবি তৈরি করেছি। বাংলায় গল্পের অভাব নেই। আমার কাছেও অনেক গল্প আছে। কিন্তু প্রযোজক নেই।’’

‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে (বাঁ দিক থেকে) রাজা সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং জিৎ। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
সুদীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক ধারাবাহিক ও ছবি পরিচালনা করেছেন। তৈরি করেছেন বেশ কিছু তথ্যচিত্রও। রাজার ঝুলিতে রয়েছে ‘দেশ’-এর মতো ছবি। এই ছবিতে অভিনয় করেন জয়া বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন। অভিনেতা জিতের কেরিয়ারে প্রথম অন্য ধারার ছবি ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এর পরিচালক ছিলেন রাজা। তিনি যে প্রযোজকের অপেক্ষায় রয়েছেন, সে কথা জানিয়ে মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমেও একটি পোস্ট করেছেন রাজা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘‘প্রযোজক পাওয়ার চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত...।’’ প্রতিষ্ঠিত পরিচালক প্রযোজক পাচ্ছেন না। সমস্যা কোথায়? রাজা বললেন, ‘‘আগে এক সময় ইন্ডাস্ট্রিতে বছরে ১৩০টা ছবি তৈরি হত। এখন সেই সংখ্যা ২৬-এ এসে দাঁড়িয়েছে! ফলে কারণটা খুবই স্পষ্ট।’’
২০১৯ সালে মুক্তি পায় রাজা পরিচালিত শেষ ছবি ‘ভালবাসার গল্প’। চলতি বছরে পরিচালক ৭০ বছরে পা দেবেন। কিন্তু পরিচালনার ক্ষেত্রে বার্ধক্য নিয়ে ভাবতে তিনি নারাজ। রাজা বললেন, ‘‘তনুবাবু (পরিচালক তরুণ মজুমদার) ৮০ বছর বয়সেও পরিচালনা করেছেন। আমার আসলে ভাল প্রযোজকের প্রয়োজন।’’ আপাতত কোনও প্রযোজক তাঁর সঙ্গে কাজের ইচ্ছাপ্রকাশ করবেন, সেই আশায় দিন গুনছেন রাজা।