নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুন বার বার চেয়েছিলেন আমেরিকা সফররত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের হাতে আদালতের সমনের চিঠি ধরাতে! কিন্তু মার্কিন গুপ্তচরেরা সেই চেষ্টা বানচাল করেন। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকার সফরসঙ্গী ছিলেন ডোভাল। পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তখনই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আদালতের নোটিস ধরানোর পরিকল্পনা করেন পন্নুন। যদিও তা ভেস্তে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি আমেরিকার আদালতে পন্নুনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, মার্কিন সফররত ডোভালকে সমনের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আদালত অবশ্য জানিয়েছে, সমন পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র প্রতিবেদনে প্রকাশ, মার্কিন সফরের সময় অজিত ডোভালরা ছিলেন প্রেসিডেন্টের অতিথি নিবাসে। সূত্রের খবর, সেই সময় পন্নুন দু’বার লোক পাঠিয়ে ডোভালকে নোটিস ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সমন হস্তান্তরে বাধা দেন মার্কিন গুপ্তচরেরা। পন্নুনের সহচরদের গ্রেফতারির হুমকিও দেওয়া হয়। পরিকল্পনা বানচাল হওয়ায় তাঁরা সমন-নথি হোটেলের বাইরে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও জানা গিয়েছে। তা-ও অবশ্য ভেস্তে দেওয়া হয়। অবশেষে ওই অতিথি নিবাসের অদূরের একটি কফিশপে রেখে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন:
হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মার্কিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খলিস্তানপন্থী নেতা পন্নুন। নাম জড়ায় বিকাশ যাদব ও নিখিল গুপ্ত নামে দুই ভারতীয়ের। বর্তমানে মার্কিন জেলে বন্দি নিখিল। নভেম্বর মাসে তাঁর বিচার শুরু হবে। আমেরিকার অভিযোগ, পন্নুনকে খুন করতে এক জন খুনিকে নিয়োগ করেছিলেন নিখিল। এর জন্য হত্যাকারীকে অগ্রিম ১৫ হাজার ডলারও দেন তিনি। যদিও নিখিল প্রথম থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। সেই ঘটনায় পৃথক মামলা করেন পন্নুন। সেই মামলার ভিত্তিতে ডোভালের বিরুদ্ধে পাঠানো সমন ধরাতেই উদ্যোগী হয়েছিলেন এই খলিস্তানপন্থী নেতা। তবে ব্যর্থ হন।
প্রসঙ্গত, খলিস্তানি জঙ্গি পন্নুন আমেরিকা এবং কানাডার দ্বৈত নাগরিক। কানাডায় আশ্রয় নেওয়া পন্নুন ২০২২ সালে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর পর তাঁর চণ্ডীগড়ের বাড়ি এবং অমৃতসরের জমি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ। পঞ্জাবের বিভিন্ন থানায় পন্নুনের বিরুদ্ধে ২২টি অপরাধের মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি দেশদ্রোহিতার।