গণতন্ত্রে কি সত্যি ব্যক্তিমতের গুরুত্ব আছে? নিজের মত প্রকাশ করে কি লাভ হয়? যে কথা রাষ্ট্রের মতের সঙ্গে মেলে না, তা বলার পরিসর কি দিন দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ‘জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’ প্রাঙ্গণে শনিবার বসেছিল সভা। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মনে করালেন, মূল স্রোতের সঙ্গে মত যদি না-ও বা মেলে, তবু তা প্রকাশ করে যেতে হবে।
‘জয়পুর সাহিত্য উৎসব’-এ গোয়া তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজস্ব চিত্র।
গোয়ার নির্বাচনে তৃণমূলের ফল নিয়ে চর্চা চলছেই। তার মধ্যেই ‘জয়পুর সাহিত্য উৎসব’-এ দেখা পাওয়া গেল গোয়া তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। যদিও নির্বাচন নিয়ে বেশি মন্তব্য না করে মহুয়া জোর দিলেন স্বতন্ত্র মত প্রকাশের অধিকারের গুরুত্বের দিকে। মনে করালেন, ফল যা-ই হোক, নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে বলার অধিকার সবার আগে।
গণতন্ত্রে কি সত্যি ব্যক্তিমতের গুরুত্ব আছে? নিজের মত প্রকাশ করে কি লাভ হয়? যে কথা রাষ্ট্রের মতের সঙ্গে মেলে না, তা বলার পরিসর কি দিন দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ‘জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’ প্রাঙ্গণে শনিবার বসেছিল সভা। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মনে করালেন, মূল স্রোতের সঙ্গে মত যদি না-ও বা মেলে, তবু তা প্রকাশ করে যেতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ফল দেখে মনে হতেই পারে যে, মনের মতো হল না। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনার সঙ্গে মত মিলছে না বলে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে, এমনটা ঠিক নয়। নিজেদের মত এবং দাবিদাওয়া প্রকাশ না করলে, কোথায় মত মিলছে না, তা না তুলে ধরলে হয়তো এই ফল আরও দশ গুণ খারাপ হত।’’
দিন দুই আগেই তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়ায় নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজেপি-শাসিত গোয়ায় মহুয়ার দল তৃণমূল একটি আসনও জিততে পারেনি। তবে তারা ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কিন্তু তা বলে শাসক দলের সব কথা মেনে নিতে হবে, তা হয় না। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে। না হলে আর গণতন্ত্র আছে কেন! এমনই মনে করেন এবং তা মনে করালেন মহুয়া।
শনিবারের আলোচনায় মহুয়ার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন বর্মা। তিনি মনে করালেন, সব স্তরের মানুষের মতামতে গুরুত্ব দিতে গেলে অনেক সময়ে কার্যক্ষেত্রে তা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। সে সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। কিন্তু তার মানে এমন হতে পারে না যে, নিজেদের বক্তব্য প্রকাশই করা যাবে না। ক্ষমতায় থাকলে আর পাঁচ জনের মতের খেয়াল রাখা জরুরি।
পবনের কথায় সুর মিলিয়েই মহুয়ার বক্তব্য, এ সব নিয়ে চর্চা হলেই জরুরি অবস্থার কথা ওঠে। জরুরি অবস্থা দেশে সঙ্কট ডেকে এনেছিল। তিনি বলেন, ‘‘সেই পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলা জরুরি। যাতে তেমন পরিস্থিতি আবার না হয়।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কৃষক আন্দোলন থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। ওই আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছে, জনতা পথে নামলে প্রশাসন একপেশে মত চাপিয়ে দিতে পারে না। প্রশাসনকে আলোচনার টেবিলে বসাতেই হবে। অভ্যাস করাতে হবে। আর তা তখনই সম্ভব, যখন নিজেদের মত প্রকাশের দায়িত্ববোধ ও জোর ভিতর থেকে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy