লোকসভা আসনের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও পাঁচটি বুথে ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অডিট ট্রেল(ভিভিপ্যাট) গণনা হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মতে, এর ফলে ভোট প্রক্রিয়ার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ও ‘সততা’ অনেকটাই বাড়বে।
দেশের ৫০ শতাংশ ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব বলে অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ছ’টি জাতীয় এবং ১৭টি আঞ্চলিক দল। অভিযোগকারীদের মধ্যে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল-সহ একাধিক বিরোধী নেতা। তাঁরা শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, প্রতিটি বিধানসভায় অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে যেন ভিভিপ্যাট ব্যবহার করা হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ অবশ্য ওই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘লোকসভা কেন্দ্রের ভিতরে প্রতিটি বিধানসভার পাঁচটি করে বুথে যদি ভিভিপ্যাটে গণনা হয়, তা হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্রুটিহীন হবে।’’ আদালতের মতে, ভিভিপ্যাটের সংখ্যা বাড়ানোয় রাজনৈতিক দলগুলিই শুধু সন্তুষ্ট হবে না, ভোটাররাও খুশি হবেন। এত দিন প্রতিটি বিধানসভায় একটি বুথেই ভিভিপ্যাট গণনা করা হত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কমিশনের একাংশ মনে করছে, একটি বুথের ভিভিপ্যাট গুনতে এক ঘণ্টা সময় লাগত। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হবে আরও চার ঘণ্টা। ফলে ইভিএমে ভোট গোনার পরে আরও পাঁচ ঘণ্টা বাড়তি সময় লাগতে পারে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই নির্বাচনী ফল আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবে কমিশন। ভিভিপ্যাট গোনা হবে একটি ‘ভিসিবি’তে। অর্থাৎ ভিভিপ্যাট কাউন্টিং বুথে (ভিসিবি)। সেটি একেবারে ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের কাউন্টারের মতোই করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। যাতে ভিভিপ্যাটের স্লিপটি হারিয়ে যেতে না পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy