কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। - ফাইল ছবি
তাঁকে ভোট না দিলে তিনিও চাকরি দেবেন না মুসলিমদের। ভোটপ্রচারে গিয়ে কোনও রাখঢাক না রেখেই কথাটা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। শুক্রবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই উস্কানিমূলক মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কংগ্রেসের তরফে টুইট করে মেনকার মন্তব্যকে ‘একটা কেলেঙ্কারি’ বলে সমালোচনা করা হয়।
এ দিন তাঁর এ বারের নির্বাচন কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর লোকসভা আসনের তুরাব খনি গ্রামে গিয়েছিলেন মেনকা। গ্রামের বাসিন্দাদের বেশির ভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সেখানে একটি প্রচার সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মেনকা বলেন, ‘‘আমি চাই, মুসলিমরাও আমাকে ভোট দিন। ওঁদের ভোট ছাড়া আমি জিততে চাই না। তবে ওঁদের ভাবগতিক দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমাকে যদি মুসলিমরা ভোট না দেন, তা হলে আমিও কোনও মুসলিমকে চাকরি দিতে চাইব না। তখন কোনও মুসলিম আমার কাছে এসে চাকরি চাইলে, আমাকেও ভাবতে হবে। চাকরি তো একটা চুক্তি। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। না হলে হয় নাকি?’’
২০১৪-য় তাঁর বহু দিনের নির্বাচন কেন্দ্র, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটেই তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। মেনকা জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এ বার তাঁর সেই বহু দিনের আসন পিলিভিট ছাড়তে হয়েছে মেনকাকে। বিজেপি এ বার পিলিভিট আসনটি মেনকা-পুত্র বরুণ গাঁধীকে দিয়ে মেনকাকে প্রার্থী করেছে সুলতানপুরে।
আরও পড়ুন- জানেনই না অনেকে! রাষ্ট্রপতিকে লেখা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের চিঠি ঘিরে তুমুল বিতর্ক
আরও পড়ুন- আসন বদল মেনকা-বরুণের
সুলতানপুরের ওই মুসলিমপ্রধান গ্রাম তুরাব খনিতে এ দিন বেশি ক্ষণ ছিলেনও না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সমাবেশে ভাষণ দেন বড়জোর মিনিটতিনেক। সেই সময়েই মেনকা বলেন, ‘‘মুসলিমদের বুঝতে হবে, এটা দেওয়া-নেওয়ার বিষয়। আমি আপনাদের (মুসলিম) জন্য কাজ করে যাব আর আপনারা আমাকে ভোট দেবেন না, এটা হতে পারে না। আমরা কেউই মহাত্মা গাঁধীর সন্তান নেই।’’
এর পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নতুন নির্বাচন কেন্দ্রের ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, পিলিভিটে তিনি ভাল কাজ করেছিলেন। বলেন, ‘‘পিলিভিটের যে কারও কাছ থেকে খবর নিন। জেনে নিন, ওখানে আমি কাজ করেছি কি না, গত ৫ বছরে। কী কী করেছি, তাও জেনে নিন। তার পর যদি মনে করেন, ওখানে যথেষ্ট কাজ করিনি, তা হলে আমাকে ভোট দেবেন না।’’
তবে এ বারও তিনি জিতবেন বলেই জানান মেনকা। বলেন, ‘‘মানুষই চান আমাকে আবার জিতিয়ে আনতে।’’
এ দিন সুলতানপুরের তুরাব খনি গ্রামে মানেকার ওই উস্কানিমূলক মন্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘‘কেলেঙ্কারি। এটা তো সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেওয়া। বিজেপি বলতে চাইছে, চাকরিটাও কিনতে হবে। এ বার বোঝা যাচ্ছে, কেন এই জমানায় (এনডিএ) দেশে চাকরিবাকরির এই হাল হয়েছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy