সমর্থকদের কাছে জন্মদিনের উপহার চাইলেন মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির জোটকে জেতাতে সমস্ত তিক্ততা দূরে সরিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একজোট হয়ে লড়াই করতে নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। একই সঙ্গে নিজের ৬৩ তম জন্মদিনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনে করিয়ে দিলেন, আসন সংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম রাজ্যই দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে দেবে। জানালেন, উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটের জয় নিশ্চিত করাই হতে পারে তাঁর জন্মদিনের সেরা উপহার।
শনিবার সপা-বসপা জোট ঘোষণার দিনেই উঠেছিল প্রশ্নটা। লখনউতে মায়াবতী-অখিলেশের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের দিনেই প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদারি নিয়ে প্রশ্নটা ছুড়েছিলেন এক সাংবাদিক। তখন মাইকটা ধরা ছিল অখিলেশ যাদবের হাতে। সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও তাঁর ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। সেদিন অখিলেশ বলেছিলেন, ‘‘ উত্তরপ্রদেশ ভারতকে অনেক প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছে। আপনারা ভাল করেই জানেন, আমার সমর্থন কার দিকে। উত্তরপ্রদেশ দেশকে আরও একজন প্রধানমন্ত্রী উপহার দিলে আমি খুশিই হব। ’’ একই মঞ্চে অখিলেশের পাশে বসে তখন হাসছিলেন মায়াবতী।
শনিবার অখিলেশের দেওয়া সেই ইঙ্গিতই মঙ্গলবার নিজের ৬৩ তম জন্মদিনে আরও স্পষ্ট করলেন মায়াবতী। প্রতিবছরই নিজের জন্মদিনে সাংবাদিক বৈঠক করা মায়াবতীর বরাবরের অভ্যেস। এই বছর লখনউতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘ উত্তরপ্রদেশই ঠিক করে দেয়, কে ক্ষমতায় আসবে, কে-ই বা হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির সমর্থকদের সমস্ত বিভেদ ভুলে এক জোট হয়ে লড়াই করা উচিত। জোটের প্রত্যেক প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করাই এক মাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই জয়ই হতে পারে আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।’’
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মন পেতে কি এ বার আয়করে ছাড়? জোর জল্পনা অন্তর্বর্তী বাজেটে
প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইতে নিজের নাম সুকৌশলে রেখে দেওয়ার পাশাপাশি জন্মদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতী বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী দিনে কংগ্রেস এবং বিজেপিকে এক ছটাক জমিও ছাড়বেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির জোট ইতিমধ্যেই বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’’ পাশাপাশি, বিজেপি এবং কংগ্রেসের মদতে যে ভাবে রাফাল এবং বফর্সের মতো প্রতিরক্ষা দুর্নীতি হয়ে চলেছে, তা থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআই-এর মতো সংস্থাকে যে ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারেরও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের কম্পিউটার-স্মার্টফোনে কেন্দ্রের নজরদারিকেই নজরবন্দি করল সুপ্রিম কোর্ট
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy