Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

৩৭০, সন্ত্রাস নিয়ে চড়া সুর বিজেপির

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় নরেন্দ্র মোদী সরকার ওই ধারাগুলি লোপের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেবে বলে ধারণা উপত্যকার রাজনীতিকদের একাংশের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৫
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি নিয়ে নির্বাচনী ইস্তাহারে পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু ওই মর্যাদা লোপ করা হলে কাশ্মীরে ‘আজাদি’র পক্ষে জনমত আরও শক্তিশালী হবে বলে এ দিন মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। সেইসঙ্গে এ দিন সন্ত্রাস প্রশ্নেও সুর চড়িয়েছেন অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় নরেন্দ্র মোদী সরকার ওই ধারাগুলি লোপের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেবে বলে ধারণা উপত্যকার রাজনীতিকদের একাংশের।

আজ বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে জানিয়েছে, জনসঙ্ঘের আমল থেকেই তারা ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারায় থাকা জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিরোধী। সেই অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। ৩৫এ ধারা অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কেউ রাজ্যে জমি কিনতে পারেন না। এমনকি রাজ্যের বাসিন্দা কোনও মহিলা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা নয় এমন কাউকে বিয়ে করলে তাঁর উত্তরসূরিরা জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। বিজেপি তাদের ইস্তাহারে জানিয়েছে, ৩৫এ ধারায় রাজ্যের অস্থায়ী বাসিন্দা ও মহিলাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। এতে রাজ্যের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর পরেই শুরু হয়েছে‌ বিতর্ক। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘‘দিল্লি কি মনে করে তারা ৩৭০ ধারা খারিজ করে দিলে আমরা চুপ করে বসে থাকব? আমার মনে হয় আল্লার ইচ্ছেতেই ওরা এই চেষ্টা করছে। এতে আমাদের আজাদির পথ প্রশস্ত হবে।’’ পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মতে, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর বারুদের স্তূপের উপরে বসে রয়েছে। ৩৭০ ধারা লোপ করা হলে গোটা এলাকায় আগুন জ্বলে উঠবে।’’ বিজেপির সহযোগী পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোনের বক্তব্য, ‘‘এই পদক্ষেপ করা হলে জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্ক বড় ধাক্কা খাবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘৩৫এ ধারার জন্য রাজ্যে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে না। রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ থাকায় বিনিয়োগকারীরা লগ্নি করতে চাইছেন না।’’

আজ সন্ত্রাস প্রশ্ন ও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলীয় ইস্তাহারে বলা হয়েছে, রাজ্যের সব বাসিন্দা যাতে শান্তিতে বাস করতে পারেন সে জন্য পদক্ষেপ করা হবে। ফেরানো হবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। পশ্চিম পাকিস্তান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও ছাম্ব এলাকা থেকে আসা শরণার্থীদের দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য। সেইসঙ্গে আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দাবি করেছেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না। ভারত এখন সন্ত্রাসের উৎসস্থলে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। সুষমার দাবি, ‘‘পাকিস্তানকে আমরা ইসলামি দেশগুলির সংগঠন ওআইসি-তেও কোণঠাসা করতে পেরেছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE