উদিত রাজ
খোদ রাজধানী দিল্লিতে চৌকিদারি থেকে ছুটি নিলেন বিজেপির সাংসদ। তার পরেই বিদ্রোহের আগুন ছড়াল পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরেও। সেখানেও টিকিট না পেয়ে দলের আর এক সাংসদ প্রশ্ন তুললেন, নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য কাজ করাটা কি দোষের? নাম থেকে তিনিও মুছে দিয়েছেন চৌকিদার শব্দটি।
কয়েক দিন ধরেই উত্তর-পশ্চিম দিল্লি আসনের বিজেপি সাংসদ উদিত রাজ বুঝতে পারছিলেন, এ বার তাঁকে প্রার্থী করা না-ও হতে পারে। বদলে সঙ্গীতশিল্পী হংসরাজ হংস পেতে পারেন টিকিট। কাল রাতে বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হতেই বিজেপির এই দলিত নেতা বলে দেন, টিকিট না পেলে দল ছাড়বেন। টুইটারে নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটিও মুছে দেন। ‘চৌকিদার’ উদিত রাজ হন ডঃ উদিত রাজ। দিল্লিতে আজই ছিল মনোনয়ন পত্র পেশের শেষ দিন। কংগ্রেস ও আপের মধ্যে গাঁটছড়া না হওয়ার পর দুই দলই আলাদা লড়ছে। যদিও রাহুল গাঁধীর একটি মন্তব্য ফের সমঝোতার সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে। রাহুল বলেছেন, শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করবেন সমঝোতা করার। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আরও নাটক হতে পারে? তার জন্য আরও তিন দিন সময় রয়েছে হাতে।
কিন্তু আজ মনোনয়নের শেষ দিন দুপুর পর্যন্তও দিল্লির উত্তর-পশ্চিম আসনে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যদিও তার আগেই হংসরাজ মনোনয়ন পেশ করতে চলে গিয়েছিলেন। দুপুরের পর বিজেপি এমন সময়ে হংসরাজের কথা ঘোষণা করল, যখন আর নির্দল হিসেবেও উদিত ভোটে দাঁড়াতে না পারেন। বিদ্রোহী উদিত জানান, কাল থেকেই তিনি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন, পারেননি। এ দিন ক্ষুব্ধ উদিত বলেন, “তিন মাস আগেই কেজরীবাল আমাকে সতর্ক করেছিলেন, আমাকে প্রার্থী করা হবে না। রাহুল গাঁধীও বলেছিলেন, আমি ভুল দলে আছি। তা সত্ত্বেও মোদীর উপরে আস্থা রেখেছি। আজ কী তারই সাজা পেলাম? না কি দলিতের হয়ে কথা বলার মাসুল গুনতে হল? দল আমাকে ইঙ্গিতও তো দিতে পারত!” কাল রাত থেকে কেজরীবাল, কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন উদিত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁরাও কিছু করতে পারেনি। কাশ্মীরের শাহ ফয়জল অবশ্য উদিতকে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপি নেতাদের ধমক খেয়ে অবশ্য আরও এক বার টুইটারে নিজের নামের সঙ্গে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন উদিত। তবে বলেছেন, ‘‘বিজেপি আমাকে দল থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে দল ছাড়ার ব্যাপারে আমি এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে কথা বলার পরে উদিত ফের চৌকিদার জুড়লেও বিজেপির জন্য নতুন অস্বস্তি নিয়ে আসেন হোসিয়ারপুরের বিজয় সাম্পলা। টিকিট না পেয়ে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘কোনও দোষ তো বলে দিতেন। আমার উপরে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আচরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠানো যাচ্ছে না। নির্বাচনী কেন্দ্রে এয়ারপোর্ট বানিয়েছি, রেলগাড়ি চালিয়েছি, রাস্তা বানিয়েছি। এটা যদি ভুল হয়, পরের প্রজন্মকে বলব, এ সব ভুল যেন না করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy