লালুপ্রসাদ যাদব। ছবি: পিটিআই।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়াটা নাকি মুক্তির সামিল। কিন্তু,অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)থেকে ছাড়া পেতেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ যাদব অগ্নিশর্মা।
অভিযোগের সুরে তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কিংবা তদন্তকারী সংস্থার চাপেই তাঁকে আর রাখতে চাইছে না এইমস কর্তৃপক্ষ। ছেড়ে দেওয়ার কথা জানাতেই সোমবার হুমকির সুরে লালু পাল্টা চিঠি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাঁর সাফ কথা, ‘‘রাঁচিতে ফিরে তিনি যদি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে তার দায় এইমসকেই নিতে হবে।’’
লালুর এই চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে গিয়ে ঠেকেছে।আরজেডি সুপ্রিমোকে ‘অপরাধী’ তকমা দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র জাফরুল ইসলামের দাবি,‘‘লালু সুস্থ কিনা সেটা চিকিৎসকদের ঠিক করার কথা। লালুর নয়।’’এ দিন এইমসে গিয়ে লালুর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথাও হয়েছে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চারটি মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৪ বছরের করাদণ্ড পেয়েছেন লালু। রাঁচির বিরসা মুণ্ডা জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সেখানকারই রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে আনা হয় দিল্লির এইমস-এ।
লালুর অভিযোগ, তিনি কিডনি, হার্ট এবং রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। এইমস-এর অন্য রোগীদের মতো তাঁরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেছেন লালু। কিন্তু মানতে চাইছেন না এইমস কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, লালুর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছিল। এখন তিনি স্থিতিশীল। তবে এইমস থেকে ছাড়া পেলেও তাঁকে খুব সম্ভবত জেলে ফিরতে হচ্ছে না। লালুকে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে রেফার করা হবে বলে এইমস-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy