Know about Supreme court's chief justice Ranjan Gogoi dgtl
National news
ইতিহাসে স্নাতক রঞ্জন গগৈয়ের হাতেই ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলার অবসান
অবসরের ঠিক আগে দেশের অন্যতম বিতর্কিত মামলার রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:১৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদ আর কয়েক দিন। অবসরের ঠিক আগে দেশের অন্যতম বিতর্কিত মামলার রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
০২১২
সুপ্রিম কোর্টের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ৩ অক্টোবর ২০১৮ তিনি প্রধান বিচারপতি হিসাব শপথ নিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি আর কয়েক দিন থাকবেন। ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন তিনি।
০৩১২
রঞ্জন গগৈয়ের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৮ নভেম্বর অসমের ডিব্রুগড়ে। তাঁর বাবা কেশবচন্দ্র গগৈ ১৯৮২ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন। রঞ্জন গগৈয়ের বেড়ে ওঠা ডিব্রুগড়েই।
০৪১২
ডিব্রুগড়ে ডন বসকো স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেছেন। তারপর দিল্লিতে চলে আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য।
০৫১২
দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন।
০৬১২
১৯৭৮ সালে বার কাউন্সিলে যোগ দেন তিনি। গৌহাটি হাইকোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন।
০৭১২
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই হাইকোর্টেরই স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে যোগ দেন।
০৮১২
২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে যোগ দেন।
০৯১২
তার পরের বছর ২০১২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। তার ছ’বছর পর ২০১৮ সালে দীপক মিশ্র অবসর নেওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন।
১০১২
রঞ্জন গগৈয়ের স্ত্রী রূপাঞ্জলি গগৈ। তাঁদের দুই সন্তান রক্তিম এবং রেশমি। দুই সন্তানই আইনজীবী। রঞ্জন গগৈয়ের দাদা অঞ্জন গগৈ ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল।
১১১২
বেনজির ভাবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যে চার জন বিচারপতি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, গগৈ তাঁদের অন্যতম। তাঁর বিরুদ্ধেই আবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের এক মহিলা কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়।
১২১২
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের আয়কর সংক্রান্ত মামলা, অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালুর মামলা তার অন্যতম। অবসরের আগে অযোধ্যা মামলার রায় দানকে তাঁর জীবনের অন্যতম বড় সাফল্য হিসাবে দেখা হবে।