ফের রেল দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল এ বার ঝাড়খণ্ড। মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলার বারহাইটে একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে আর একটি মালগাড়ি। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত চার জন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বারহাইটে লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি খালি মালগাড়ি। ভোর ৪টে নাগাদ সেই লাইন ধরেই ছুটে আসে ফরাক্কা থেকে লালমাটিয়ার উদ্দেশে যাওয়া কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাতে দু’টি মালগাড়ির ইঞ্জিন দুমড়েমুচড়ে যায়। সেগুলি লাইন থেকে দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে এবং তার পরেই ভাঙা অংশগুলোয় আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনায় দু’টি মালগাড়ির চালকই মারা গিয়েছেন। একটি দেহ উদ্ধার করা গেলেও, আর একটি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। ইঞ্জিনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকল। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেল দুর্ঘটনায় কয়েক জন রেলকর্মী এবং সিআইএসএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের পদস্থ আধিকারিকেরা। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি
মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ২-৩ দিন ওই লাইনে
কোনও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
গত রবিবারই ওড়িশার কটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে কামাখ্যার দিকে যাওয়ার পথে কটকে ওই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৭ জন। ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল যাত্রিবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ওই ট্রেনের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি বগি পাশের লাইনে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। তার পরেও দেশের নানা প্রান্তে ছোট-বড় একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।