‘মিত্র’ দেশকে সতর্কবার্তাও দিয়ে গেলেন মার্কিন বিদেশ সচিব। ছবি: এএফপি।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বেশ কয়েক গুণ বাড়ানোর লক্ষ্যেই ভারতে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি। কিন্তু মৈত্রীর আবহেও কেরির বার্তায় নরেন্দ্র মোদীর জন্য রয়ে গেল খচখচানির কাঁটা। ফের অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে গেলেন কেরি। দিল্লি আইআইটি-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেরি বুধবার বললেন, সব নাগরিককেই নির্ভয়ে মত প্রকাশের অধিকার দিতে হবে। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এই বার্তাই দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রতি।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে কাশ্মীর সংক্রান্ত এক কর্মসূচিতে ‘আজাদি’ স্লোগান ওঠায় কর্মসূচির আয়োজক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সে প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছিল, ‘‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জমায়েতের অধিকারকে আমেরিকা সমর্থন করে।’’ এই মন্তব্যের মাধ্যমেই ওয়াশিংটন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ তারা সমর্থন করছে না। এ বার ভারত সফরে এসে মার্কিন বিদেশ সচিব ফের বুঝিয়ে দিলেন, সহিষ্ণুতার প্রশ্নে ভারতের ভূমিকায় আমেরিকা খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। দিল্লি আইআইটির পড়ুয়াদের সঙ্গে বুধবার এক আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছিলেন জন কেরি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকারকে আমাদের সম্মান করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হলেও জেলে যেতে হতে পারে, এমন ভয় যেন তাঁরা না পান।’’
আরও পড়ুন: কোনও জঙ্গিই ভাল নয়, মানলেন কেরিও
নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ভারতে অসহিষ্ণুতার আবহ বেড়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনেরও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মিত্র দেশে অসহিষ্ণুতার আবহ নিয়ে তাঁর উদ্বেগ গোপন করেননি। ২০১৫-র গোড়ায় ভারত সফর সেরে আমেরিকা ফেরার পর প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছিলেন, ‘‘যে দেশ তার বৈচিত্রের জন্য খ্যাত, সেই দেশে এমন অসহিষ্ণুতার নমুনা দেখলে মহাত্মা গাঁধী অত্যন্ত আঘাত পেতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy