তামিলনাড়ুকে ৬ হাজার কিউসেক জল দিতে আপত্তি জানাল কর্নাটকের বিরোধী দলগুলিও। সুপ্রিম কোর্টের গত কালের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটক সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে আজ, শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে একই সুর শোনা গিয়েছে
বিরোধী বিজেপি এবং জেডিএস নেতাদের গলায়। তামিলনাড়ুকে জল দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেন তাঁরা। বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কর্নাটক সরকার। আজ কাবেরীর জলসঙ্কট নিয়ে কর্নাটক সরকারের পাশে দাঁড়ালেন সেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ় ডি দেবগৌড়া। জলের জন্য শনিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন শুরু করলেন তিনি।
কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে আদালতের নির্দেশ না মানায় গত কালই সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে কর্নাটক সরকার। সেই সঙ্গে, কর্নাটককে ১ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত— প্রতি দিন তামিলনাড়ুকে ৬ হাজার কিউসেক জল দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কোর্টের নির্দেশ না মানার জন্য রাজ্যকে আইনের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ৪ অক্টোবরের মধ্যেই কেন্দ্রকে কাবেরী ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
এরই বিরোধিতা করে আজ থেকে অনশন শুরু করেছেন জনতা দলের (সেকুলার) সুপ্রিমো, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৮৩ বছরের দেবগৌড়া। তাঁর যুক্তি, তামিলনাড়ুকে ৬ হাজার কিউসেক জল দিতে গেলে পানীয় জলের অভাব দেখা দেবে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এর বিচার চাই। খাবার জল ছাড়া মানুষ বাঁচবে কী ভাবে।’’ দেবগৌড়া জানিয়েছেন, তাঁর এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আস্থা আছে। তিনি চান, কেন্দ্র বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এই জলসঙ্কট মিটমাট করুক। আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তিনি বলেন, ‘‘সব সময়েই রাজ্যের সমস্যা নিয়ে লড়াই করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি এর পর বিচারব্যবস্থার চোখ খুলবে।’’
তামিলনাড়ুকে ৬ হাজার কিউসেক জল দেওয়ার পাশাপাশি কাবেরী ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠনের নির্দেশের বিরোধিতা করেছে বিজেপি। এর জন্য প্রয়োজনে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানোর কথা বলেছে দলটি। বিধানসভার বিরোধী বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টার বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়িত করা বা তা মেনে চলা সম্ভব নয়। কর্নাটক সরকারের উচিত অতিরিক্ত জল না ছাড়ার সিদ্ধান্তে স্থির থাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy