(বাঁ দিকে) আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর ১০০ কোটি টাকার তহবিল ফিরিয়ে দিল তেলঙ্গানা সরকার। যুব সম্প্রদায়ের জন্য কারিগারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকার। সেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে অনেক শিল্পপতিই উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীদের তালিকায় ছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সেই টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তেলঙ্গানা সরকার। সম্প্রতি ‘ঘুষ’ বিতর্কে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি-সহ সাত জনের নাম জড়িয়েছে। সেই আবহেই ১০০ কোটি তহবিল ফেরানোর কথা জানালেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি।
রেবন্ত জানিয়েছেন, কারিগারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কোনও সংস্থার থেকে কোনও অনুদান বা তহবিল নেবে না। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গতকাল সরকারের তরফে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি লিখে ১০০ কোটি তহবিল না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।’’ গত ১৮ অক্টোবর আদানি গোষ্ঠীর তরফে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা গ্রহণ করা হবে না বলেই জানান রেবন্ত। তিনি স্পষ্ট করেন, দরপত্র ডেকেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও আদানিদের টাকা ফেরানোর সঙ্গে ‘ঘুষ’কাণ্ডের কোনও যোগ রয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আদানিদের বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকার। অতীতে আদানিদের নিয়ে বার বার সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এমনকি সংসদেও বিরোধীরা আদানি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই পরিস্থিতিতে তেলঙ্গানার সরকারের আদানির থেকে টাকা নেওয়া কংগ্রেসের ‘দ্বৈত মানসিকতা’ বলে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি-সহ বিরোধীরা।
কয়েকটি রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের ‘সরকারি আধিকারিকদের’ (যাঁর মধ্যে নেতা-মন্ত্রীরাও রয়েছেন) ২৬.৫ কোটি ডলার (প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি আদানির বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকদের ওই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মোট পাঁচটি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই গৌতম এবং সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, গৌতমদের বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালত সমনও পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy