কনহইয়া কুমার
জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশ-বিরোধী কাজের অভিযোগে উমর খালিদকে বহিষ্কার ও কনহইয়া কুমারকে আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ওই সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৬ সালে। ওই বছর ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে জেএনইউ ক্যাম্পাস চত্বরে হওয়া একটি অনুষ্ঠানে সরব হয় বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী। অভিযোগ ওঠে, জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের তৎকালীন সভাপতি কনহইয়া কুমার ছাড়াও উমর খালিদ ওই বিক্ষোভ সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। দেশ-বিরোধী কাজের অভিযোগে গ্রেফতারও হন ওই ছাত্র নেতারা। পরে জামিনে ছাড়া পান তাঁরা।
সে সময়ে জেএনইউ কাণ্ড ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির রাজনীতি। সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপি অভিযোগ তোলে দেশ-বিরোধী কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে জেএনইউ ক্যাম্পাস। অন্য দিকে ওই ঘটনায় মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব
হয়েছে, ওই যুক্তিতে সরব হন বিশিষ্ট জনেদের একাংশ।
পুলিশের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়।তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য উমর খালিদের বহিষ্কার ও কনহইয়াকে জরিমানার নির্দেশ দেয়। জরিমানা করা হয় আরও ১৩ জন পড়ুয়াকে। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পড়ুয়ারা। কমিটির ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপিলেট অথরিটির কাছে পাঠায় আদালত। এখন সেই কমিটিও সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্তই নিল।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত। এতে আমার বলার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy