নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
একা চন্দ্রবাবুতে রক্ষে নেই। এ বার তাঁরই সুরে বিহারের জন্য ‘স্পেশ্যাল স্টেটাস’ বা বিশেষ অধিকার চেয়ে মোদী সরকারকে আর একপ্রস্থ চাপে ফেলে দিল এনডিএ-র অন্যতম শরিক জেডি(ইউ)। নীতীশ কুমারের দলের দাবি, বিহারের স্পেশ্যাল স্টেটাসের দাবি নিয়ে এ বার অন্তত কেন্দ্র গুরুত্ব দিয়ে ভাবুক।
নীতীশ নিজে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি। তবে তাঁর নাম করেই মুখ খলেছেন জেডি(ইউ) নেতা কে সি ত্যাগী। বলেছেন, ‘‘নীতীশ কুমার বহু আগে থেকেই বিহারের জন্য বিশেষ অধিকারের দাবি করে আসছেন। এ বার আমরা সেই দাবি নিয়ে লড়াই করব।’’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জোট রাজনীতির চাপ এটাই। জোটে যদি জট পাকিয়ে যায়, তবে তা পাটের গিঁটের চেয়েও ভয়ঙ্কর। অন্ধ্রের জন্য বিশেষ অধিকারের দাবি পূরণ না হওয়ায়, শুক্রবার সকালেই এনডিএ সরকারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। ঘণ্টা কয়েক কাটতে না কাটতেই একই দাবিতে সরব এনডিএ-র আরও এক শরিক।
অনেকেই মনে করছেন, গোটাটা নীতীশ কুমারেরই কৌশল। নিজে থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা না বলে, তিনি এগিয়ে দিয়েছেন দলেরই রাজ্যসভা সাংসদ ত্যাগীকে।
আরও পড়ুন: মোদীর হাত ছাড়ল টিডিপি, জোট বেঁধে অনাস্থার তোড়জোড়
কিন্তু হঠাত্ কেন এই ইস্যু তোলালেন নীতীশ? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহার রাজনীতির নিজস্ব চাওয়া-পাওয়ার অঙ্ক, সেন্টিমেন্ট এবং ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবেই নীতীশ ইস্যুটা আবার সামনে আনলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তুলনা টেনে এত দিন ধরে আরজেডি বলে আসছিল, যা চন্দ্রবাবু পারেন, সেটা নীতীশ পারেন না। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বার বার মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিজেপির হাতে পড়ে নীতীশ স্পেশ্যাল স্টেটাসের দাবি ভুলে গিয়েছেন।’’ এই অবস্থায় চন্দ্রবাবুর জোটত্যাগের সিন্ধান্ত নীতীশের উপরও চাপ বাড়িয়ে দেয়।
সব মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদীর উদ্বেগ যে বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। এক রাজ্যের শরিক সঙ্গ ছাড়ল। আর এক রাজ্যের শরিক প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আওয়াজ তুলে দিল। এ বার পশ্চিমবঙ্গ কিংবা পঞ্জাবের মতো ঋণভারে জর্জরিত রাজ্যগুলোও বিশেষ অধিকারের দাবিতে যদি সুর আরও চড়ায়, তা হলে কিন্তু অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy