ছবি: পিটিআই।
ধর্ষণকারীদের ‘জনসমক্ষে পিটিয়ে মারা উচিত’ বলে মনে করেন সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সাংসদ জয়া বচ্চন। তেলঙ্গানায় পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে আলোচনার সময় রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে আজ অকপটে গণপিটুনির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আইনসভার এক জন সদস্য কী ভাবে আমজনতাকে আইন হাতে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? সমালোচকদের মতে, গণপিটুনি নিয়ে জয়ার বক্তব্য সেকেলে এবং হাস্যকর।
তেলঙ্গানায় গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। আজ তার আঁচ পড়েছে সংসদেও। কেউ চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ড, কেউ বলেছেন লিঙ্গচ্ছেদ করা হোক অপরাধীদের। আর জয়ার দাবি, ‘‘আপনারা যদি নিরাপত্তা দিতে না-পারেন, তা হলে মানুষের হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দিন। এই ধরনের লোকজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত।’’
জয়াকে অবশ্য এ দিন সমর্থন করেছেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমকে আজ তিনি বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে আমি একমত। আমি মনে করি না, ধর্ষকদের নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া এবং বিচারের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। অবিলম্বে সাজা দিতে হবে।’’ মিমির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, মিমি যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। তৃণমূল চায় ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তি হোক, কিন্তু তা বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: সাত থেকে সতেরো, খুন-ধর্ষণ, দেশ জুড়ে চলছেই
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানা গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডের অভিযুক্তেরা জেলে বসে খেল মাংস-ফ্রায়েড রাইস
গত কয়েক বছরে কখনও গোমাংস খাওয়া, কখনও চোর বা শিশুচোর সন্দেহে, কখনও বা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান না-দেওয়ায় গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ। অধিকাংশ সময় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গৈরিক শিবিরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠিও দিয়েছেন বিশিষ্টজনেদের একাংশ। সমালোচকদের মতে, এই রকম আবহে ‘পিটিয়ে মারা’র মতো মন্তব্য করা জয়ার উচিত হয়নি। তাঁর মনে রাখা উচিত, সভ্য সমাজে রাস্তায় বিচারসভা বসানোর অবকাশ নেই।
সমালোচকদের বক্তব্য, জয়া সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মত নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়নে সরকারকে পরামর্শ দিতে পারতেন। মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, পুলিশের কী করা উচিত তা-ও বলতে পারতেন। কিন্তু তা না-করে তিনি প্রতিহিংসার পথই দেখালেন, তা-ও আবার সংসদে দাঁড়িয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy