—ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে ঐকমত্য হচ্ছে না কংগ্রেসে। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বন্ধ খামে চারটি নাম দিতে বলা হল। কিন্তু রাহুলের উত্তরসূরি বাছাইয়ের গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই আজ প্রশ্ন তুলে দিলেন দশ জনপথের একদা ঘনিষ্ঠ নেতা জনার্দন দ্বিবেদী। নাম না করে আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
রাহুল গাঁধী ইস্তফা ঘোষণার পরে গত কয়েক দিনে দু’দফায় কংগ্রেসের প্রবীণ ও কিছু নবীন নেতা দলের পরবর্তী সভাপতির নাম স্থির করতে বৈঠকে বসেন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল আগামিকাল, বুধবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু কোনও নাম নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই বৈঠক। তার উপর কাল রাহুল যাচ্ছেন অমেঠী। দলের ছোট-বড় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে, মধ্যাহ্নভোজের আসরে জানবেন, হারের কারণ কী। ভোটের সময় তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মামলায় হাজিরা দেবেন। গুজরাতের দু’টি আদালত তাঁকে মানহানি মামলায় ১৬ জুলাই ও ৯ অগস্ট হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সুশীল কুমার শিন্দের নাম ভেবে রেখেছিল গাঁধী পরিবার। কিন্তু তার পর রাহুলের পাশাপাশি সনিয়া গাঁধীও পরবর্তী সভাপতি বাছাইয়ের পর্ব থেকে নিজেদের দূরে রাখেন। সনিয়া নতুন সভাপতিকে গাঁধী পরিবারের ‘কাঠপুতুল’ হিসেবে দেখাতে চান না। এই পরিস্থিতিতে সাংসদদের একটি বড় অংশ মল্লিকার্জুন খড়্গেকেই পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। সঙ্গে আরও কিছু সহ-সভাপতি। এরই মধ্যে মনমোহন সিংহকে দায়িত্ব দিয়ে দেশের চার প্রান্ত থেকে চার সহ-সভাপতির প্রস্তাব দিয়েছেন কর্ণ সিংহ। আবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ তরুণ কোনও নেতাকে সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু কোনওটি নিয়েই এক-পাও এগোতে পারেনি কংগ্রেস।
দলের এই পরিস্থিতি দেখে পাঁচ সভাপতি ও চার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করা দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন কিছু নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, রাহুল গাঁধী ইস্তফা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু বাকি নেতারা কেন ইস্তফা দিলেন না? বস্তুত এই কথাটা রাহুল নিজেও ক’দিন আগেই টুইটারে লিখেছিলেন। দ্বিবেদীর বক্তব্য, পদ না ছাড়লে পদ পাওয়ারও আশা রাখতে নেই। তিনি এই প্রসঙ্গে ২০১৪ সালে নিজের ইস্তফার চিঠি প্রকাশ্যে আনেন। হারের দায় নিয়ে তিনি পদ ছেড়ে নবীনদের জায়গা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
যে নেতারা এখন কংগ্রেসের সভাপতি বাছাইয়ের জন্য বৈঠক করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে জনার্দন বলেন, ‘‘কোন এক্তিয়ারে তাঁরা এ কাজ করছেন? রাহুল গাঁধীই তাঁর উত্তরসূরি বেছে দিতে পারতেন। এই নেতারা তো এ কে অ্যান্টনির মতো ব্যক্তিকেও ডাকার প্রয়োজন বোধ করছেন না!’’ অ্যান্টনিকে অবশ্য এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর এড়িয়ে বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy