জেলের মধ্যে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আজ সকালে বারামুলা সাব জেলে বন্দিদের ঘরে তল্লাশি করে মিলল ১৪টি মোবাইল ফোন এবং আরও কিছু অবৈধ জিনিসপত্র। ওই মোবাইলগুলির মাধ্যমে জেলে বসেই রাজ্যের নানা প্রান্তে যুবকদের পাথর ছোড়ায় ইন্ধন জোগানো হচ্ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
বারামুলার এই জেলেই বন্দি রয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসরত আলম বাট। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উপত্যকায় চলতে থাকা অশান্তির পিছনে কট্টরপন্থী এই হুরিয়ত নেতার বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় মূলত তাঁর ইন্ধনেই শ’য়ে শ’য়ে যুবক বিক্ষোভে যোগ দিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছুড়ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০১৫-র গোড়ায় সৈয়দ আলি শাহ গিলানি দিল্লি থেকে শ্রীনগর ফেরার পরে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল শ’খানেক বিচ্ছিন্নতাকামী যুবক। সেই দলের নেতৃত্বেও ছিলেন মাসরত। এর পর চলতি বছরই এপ্রিলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকেই বারামুলার এই জেলেই রয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই মোবাইলগুলির মাধ্যমেই জেল থেকে মাসরত ও তাঁর সঙ্গী বন্দিরা এত দিন ধরে কাশ্মীরি যুবকদের পাথর ছোড়ায় ইন্ধন জুগিয়ে আসছিল। কী করে জেলের মধ্যে এই সব নিষিদ্ধ জিনিস ঢুকল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই জেলের ভিতরে মোবাইল ব্যবহারের খবর আসছিল তাদের কাছে। আজ সকালে আচমকাই জেল কর্তৃপক্ষ আর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।
গত মাসে বারামুলা জেলা জেলের কর্তা আবদুল সামাদ বাটের বদগামের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল দুই জঙ্গি। প্রথমে তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। তার পর ওই অফিসারের ছেলে ও এক ভাইপোকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর গাড়িও। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই জেল কর্তা। জেলের বন্দিদের উপর কড়া নজর রাখতেন বাট। গোটা অভিযানের পরিকল্পনাটাই বারামুলার সাব জেলে বসে মোবাইলের মাধ্যমে করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা বললেন, ‘‘আমরা এখন কল লিস্ট ঘেঁটে দেখছি। পুরো বিষয়টা তার পরই স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy