উৎক্ষেপণ: শ্রীহরিকোটা থেকে পাড়ি। ছবি ইসরোর সৌজন্যে।
আরও একটি সাফল্যের পালক সফল উৎক্ষেপণ ও মহাকাশে উপগ্রহ স্থাপনের ধারাবাহিকতায়! মহাকাশ পরিবহণের ব্যবসা বাড়িয়েই চলেছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো শুক্রবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি সি-৩৮ রকেটে চাপিয়ে কার্টোস্যাট-২ সিরিজের একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। একই রকেটে পাঠানো হয়েছে ২৯টি বিদেশি উপগ্রহকেও। এর বাইরে তামিলনাড়ুর নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উপগ্রহকেও একই রকেটে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এ বারেও নিখুঁত ও সফল ভাবে প্রতিটি উপগ্রহকে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে ইসরো।
ইসরোর বাণিজ্যিক সংস্থা ‘অ্যানট্রিক্স’ বহু দিন ধরেই বিদেশি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মঙ্গল অভিযানের সাফল্যকে হাতিয়ার করে এই বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেন। তার পর থেকেই ক্রমশ মহাকাশ ব্যবসার বহর বা়ড়াচ্ছে ভারত। বিদেশি উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষেত্রে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক রকেটে ১০৪টি উপগ্রহ পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছিল ইসরো। সে দিনও কার্টোস্যাট-২ সিরিজের একটি উপগ্রহ গিয়েছিল। বাকিগুলির মধ্যে ১০১টি বিদেশি উপগ্রহ ও ইসরোর নিজের দু’টি খুদে-উপগ্রহ ছিল।
ইসরো সূত্রের খবর, মানচিত্রের কাজ আরও নিখুঁত করার জন্য কার্টোস্যাট-২ সিরিজের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। এ দিন পাঠানো হলো সেই সিরিজের ষষ্ঠ উপগ্রহ। ইসরো জানিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে রকেটটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৬ মিনিট পরে ৭১২ কিলোগ্রামের উপগ্রহটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়।
ইসরো সূত্রের খবর, পিএসএলভি রকেট প্রায় দেড় হাজার কিলোগ্রাম ওজন বইতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৭১২ কিলোগ্রামের অর্থ রকেটের সামর্থ্যের অর্ধেক ওজন হয়েছিল। সেই কারণেই রকেটের ক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহারে আরও ১৪টি দেশের ‘যাত্রী’ও তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ দিন ভারতের ‘গাড়িতে’ চেপে মহাকাশে পাড়ি দেওয়া উপগ্রহগুলির মধ্যে
আমেরিকার ১০টি এবং ব্রিটেন, বেলজিয়াম ও ইতালির ৩টি করে উপগ্রহ রয়েছে। বাকি ১০টি যথাক্রমে অস্ট্রিয়া, চিলি, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy