ছবি সংগৃহীত।
কেবিনের বায়ুচাপ বাড়ানো হয়নি বলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া জেট এয়ারওয়েজের যাত্রীদের এক জন ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন। তাঁর আরও দাবি, ইকনমি ক্লাসে (তুলনায় কম দামি) টিকিট কাটা সত্ত্বেও তাঁকে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের সুযোগসুবিধার জন্য ১০০টি আপগ্রেড ভাউচার দিতে হবে।
আকাশে কেবিনের বায়ুচাপ বাড়ানো হয়নি বলে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে জয়পুরগামী জেট এয়ারওয়েজের বিমানে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্তত ৩০ জন যাত্রীর নাক, মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় পাঁচ জন যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদেরই এক জন জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। অভিযোগ, তাঁর দাবি না মানা হলে ওই সময় বিমানের কেবিনের কী অবস্থা ছিল, গোপনে তুলে রাখা তার ভিডিয়ো ওই যাত্রী সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
আইন অনুযায়ী, বিমানে ভ্রমণের সময় কোনও কারণে আহত হলে, যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থা।
বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৭১ জন। আকাশে ওড়ার সময় যাত্রী ও লাগেজের জন্য বিমান বেশি ভারী হয়ে গিয়েছিল বলে কেবিনে বায়ুচাপ বাড়ানোর সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন জেট এয়ারওয়েজের পাইলট। আকাশে ওঠার পর সেই সুইচ ফের চালু করতে বেমালুম ভুলে যান বিমানসেবিকারা।
আরও পড়ুন- পাইলট ইচ্ছাকৃত ভাবে এসি প্যাক বন্ধ করবেন না, তিনিও তো কষ্ট পাচ্ছিলেন
আরও পড়ুন- ‘মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরব না’ মাঝ আকাশের বিভীষিকায় এখনও শিউরে উঠছেন প্রশান্ত
উড়ান সংস্থাটির এক অফিসার বলেছেন, ‘‘যাত্রী পরিষেবার বিষয়টি অবহেলা করা হয়েছে বলে ওই যাত্রীর অভিযোগ। তারই প্রেক্ষিতে তিনি ওই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।’’
জেট এয়ারওয়েজের তরফে জানানো হয়েছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিমানসেবিকাদের আপাতত কাজের বাইরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বলা হয়েছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy