Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ইন্দিরা গাঁধী: জীবন ও প্রাসঙ্গিক ঘটনাপঞ্জী

[নিমাইসাধন বসু প্রণীত ‘আমি: ইন্দিরা গান্ধী’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া। বানান পরিবর্তিত। সৌজন্য: আনন্দ পাবলিশার্স] নেহরু দম্পতির একমাত্র কন্যা ইন্দিরা। পিতামহ মোতিলাল তাঁর জননীর নামে পৌত্রীর নামকরণ করেন, ইন্দিরা। জওহরলাল ও কমলা চেয়েছিলেন মেয়ের নাম হবে প্রিয়দর্শিনী।

ইন্দিরা গাঁধী। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

ইন্দিরা গাঁধী। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:৪১
Share: Save:

১৯১৭ নভেম্বর ১৯

ইলাহাবাদের লব্ধপ্রতিষ্ঠ উকিল মোতিলাল নেহরুর আনন্দ ভবনে রাত্রি ৯টা ১৪ মিনিটে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দিরা। পিতা পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর বয়স তখন ২৮ বছর, মাতা কমলা নেহরুর ১৮। নেহরু দম্পতির একমাত্র কন্যা ইন্দিরা। পিতামহ মোতিলাল তাঁর জননীর নামে পৌত্রীর নামকরণ করেন, ইন্দিরা। জওহরলাল ও কমলা চেয়েছিলেন মেয়ের নাম হবে প্রিয়দর্শিনী।

১৯৩০ মার্চ

মহাত্মা গাঁধীর ডান্ডি অভিযান। আইন অমান্য আন্দোলনে সাহায্য করার জন্য ইন্দিরা কর্তৃক শিশুদের নিয়ে ‘বানর সেনা’ গঠন।

১৯৩৪ এপ্রিল

প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

জুলাই

শান্তিনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীতে ভর্তি হন।

১৯৩৭ ডিসেম্বর

লন্ডনে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অক্সফোর্ডের সমারভিল কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করেন। তাঁর পাঠ্য বিষয় ছিল ইতিহাস অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান

১৯৩৬ সালে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে কলকাতায়।

১৯৪৪ অগস্ট ২০

বোম্বাইয়ে প্রথম পুত্র রাজীবের জন্ম

১৯৪৬ ডিসেম্বর ১৪

দ্বিতীয় পুত্র সঞ্জয়ের জন্ম

১৯৫০

প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একান্ত সচিবের কাজ গ্রহণ। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘অফিসিয়াল হোস্টেস’-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

১৯৬০ সেপ্টেম্বর ৮

ফিরোজ গাঁধীর মৃত্যু

১৯৬২ নভেম্বর ২

চিনের ভারত আক্রমণের সময়ে বেতারে ভাষণ। চিনা আক্রমণের ফলে বিপর্যস্ত সৈন্যবাহিনীর মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য তেজপুর গমন।

১৯৬৪ মে ২৭

জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু

১৯৬৫ সেপ্টেম্বর

পাকিস্তানের অতর্কিতে ভারত আক্রমণ

১৯৬৬ জানুয়ারি ২৪

প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথগ্রহণ

১৯৬৭ ফেব্রুয়ারি ২৩

উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত

মার্চ ১৩

দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে

মহাত্মা গাঁধী সঙ্গে ইন্দিরা গাঁধী।

১৯৬৯ নভেম্বর ১২

নিজলিঙ্গাপ্পার সভাপতিত্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক প্রস্তাবে ইন্দিরাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হল। ফলে কার্যত কংগ্রেস দু’ভাগ হয়ে গেল।

১৯৭১ মার্চ ২৭

২৬ মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে নিপীড়িত মানুষের সমর্থনে বক্তৃতা।

অগস্ট ৯

সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ২০ বছরের জন্য ‘শান্তি মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি’ সম্পাদন।

ডিসেম্বর ৩

পশ্চিম সীমান্তে পাক বিমান আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ ও দেশে আপৎকালীন জরুরি ব্যবস্থা ঘোষণা।

ডিসেম্বর ৪

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধ ঘোষণা

ডিসেম্বর ৬

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দান

১৯৭২ মার্চ ১৮

ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর

মে ২০

আনন্দবাজার পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করে বলেন, ‘আনন্দবাজার পত্রিকা গত পঞ্চাশ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে বহু মহান আদর্শের জন্য সংগ্রাম করেছে।’

জুলাই ২

ভারত- পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর।

ডিসেম্বর ২৯

কলকাতা ময়দানে পাতাল রেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

জানুয়ারি ৩০

৪৪৬টি কয়লা খনি জাতীয়করণ

নাতি-নাতনিদের সঙ্গে

১৯৭৪ মে ১৮

পোখরানে ভূগর্ভে আনবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী রূপে গণ্য হল।

জুন ১২

এলাহাবাদ হাইকোর্টের ঘোষণা- রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে ১৯৭১-এর লোকসভায় ইন্দিরা গাঁধীর নির্বাচন অবৈধ

জুন ২৪

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আয়ার কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী রূপে ইন্দিরা গাঁধীকে সংসদে যোগদানের অধিকার দান, কিন্তু তাঁর ভোটাধিকার রইল না।

জুন ২৬

দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য আপৎকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা।

জুলাই ১

অর্থনৈতিক নীতি পুনর্বিন্যাসের জন্য বিশ দফা কর্মসূচি ঘোষণা।

নভেম্বর ৭

এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ কর্তৃক নাকচ।

১৯৭৭ মার্চ ২১

রায়বরেলি কেন্দ্রে জনতা পার্টির প্রার্থী রাজনারায়ণের কাছে পরাজিত।

মার্চ ২২

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা

১৯৭৮ জানুয়ারি ২

দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেসের সভানেত্রী রূপে নির্বাচিত।

১৯৮০ জানুয়ারি ৭

উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি ও অন্ধ্রপ্রদেশের মেদক, উভয় কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ।

জানুয়রি ৯

লোকসভায় ইন্দিরা কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ আসন লাভ

জুন ২৩

নতুন দিল্লিতে বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গাঁধীর মৃত্যু

ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে শ্রীমতি গাঁধী।

১৯৮৪ জুন ৫

স্বর্ণমন্দির থেকে উগ্রপন্থীদের বহিষ্কারের উদ্দেশ্যে সেনা পাঠানো। অপারেশন ‘ব্লু স্টার’ শুরু।

জুন ৭

সন্ত জার্নাল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালে ও তাঁর দুই প্রধান সহকারী সাহেব সিংহ ও বেআইনি ঘোষিত শিখ ছাত্র ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট অমৃক সিংহের গুলিবদ্ধ মৃতদেহ স্বর্ণমন্দির থেকে উদ্ধার করা হয়।

অক্টোবর ৩১

সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে দফতরে যাওয়ার সময় নতুন দিল্লিতে বাসগৃহ সংলগ্ন উদ্যানপথে নিরাপত্তারক্ষী বিয়ন্ত সিংহ ও সতবন্ত সিংহের আতর্কিত আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর কর্মময় জীবনের অবসান হয়।

ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE