কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি-র রিপোর্টে। তার পরেই বাতানুকূল কামরার ‘কম্বল-ধোলাই’ নিয়ে কড়া হচ্ছে রেল।
এত দিন দু’মাস অন্তর কম্বল ধোয়া হচ্ছিল। এ বার মাসে অন্তত দু’বার কম্বল ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হল। এই মর্মে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে রেলের সব অঞ্চলের কাছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে রেল বিপুল উদ্যমে সাফাই অভিযানে নেমেছিল। কিন্তু দূরযাত্রীদের শোয়ার ব্যবস্থাতেই যেন সব অপরিচ্ছন্নতা বাসা বেঁধেছিল। রেলেরই এক আধিকারিক বলেন, “ট্রেনের কামরা, শৌচালয় এবং স্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখার তৎপরতার সঙ্গে সঙ্গে বিছানাপত্র সাফসুতরো রাখাটাও জরুরি। সেটা না-হলে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যই অসম্পূর্ণ থাকে।”
রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় অপরিচ্ছন্ন কম্বল দেওয়ায় সিএজি-র রিপোর্টে বিস্তর সমালোচনা করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় দুর্গন্ধযুক্ত কম্বল নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগের সংখ্যাও কম নয়। রোজ সারা দেশে বাতানুকূল কামরার যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে ৩.৯ লক্ষ কম্বল লাগে। মাসে দু’বার ধোয়ার ফলে কম্বলের আয়ু কমবে। তাই কম্বলের উপাদানও বদলানো হচ্ছে। উলের পাশাপাশি কম্বলে আনুপাতিক হারে নাইলন মেশানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। ওই খাতে খরচ বাড়লেও আপাতত পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সম্মান ফেরানোই রেলের লক্ষ্য।
এত দিন বাতানুকূল শ্রেণির মধ্যে শুধু প্রথম শ্রেণিতে প্রতি বার ব্যবহারের পরে কম্বলের ‘কভার’ বা ওয়াড় ধোয়ার রেওয়াজ ছিল। অন্যান্য বাতানুকূল শ্রেণির কামরায় চাদর ও বালিশের কভার, তোয়ালে প্রতি বার ধোয়ার নিয়ম থাকলেও কম্বল ধোয়া হত না। এখন থেকে মাসে দু’বার কম্বল ধুতে হবে। তোয়ালে, চাদর ধোয়া নিয়েও যাত্রীদের অভিযোগ বিস্তর। অনেক সময়েই দাগ লাগা, ব্যবহৃত চাদর ফের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই সব সামগ্রী ধোয়ার জন্য যন্ত্রচালিত ৫০টি লন্ড্রি চালু করেছে রেল। কয়েক মাসের মধ্যে আরও ১০টি যন্ত্র চালু করার কথা। হাওড়ায় যন্ত্র-লন্ড্রিতে শয্যাসামগ্রী ধোয়ার ব্যবস্থা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy