সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা।
ছুটির আনন্দ প্রায় মাটি হয়ে যেতে বসেছিল! সিকিম বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ করেই প্রবল তুষারপাত। আর তাতেই আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। শেষে ভারতীয় সেনা তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, উদ্ধারের পর নিজেদের ছাউনি ফাঁকা করে পর্যটকদের আশ্রয়, খাবারদাবার, ওষুধ, শীতের পোশাক— সব কিছুর ব্যবস্থাও তারা করে।
গ্যাংটক থেকে শুক্রবার চিন সীমান্তের কাছে না থুলা পাস, ছাঙ্গু লেক এবং বাবা মন্দির বেড়াতে গিয়েছিলেন পর্যটকেরা। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই সব জায়গায় ঝির ঝির করে বরফ পড়ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুর থেকে তার প্রাবল্য বাড়তে থাকে। ফলে ওই সব এলাকায় আটকে পড়েন প্রায় ৩ হাজার পর্যটক।
খবর পেয়ে উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় সেনা। রাস্তা থেকে বরফ সরিয়ে পর্যটকদের কাছাকাছি পৌঁছন তাঁরা। একে একে সকলকেই উদ্ধার করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, পর্যটকদের মধ্যে শিশু এবং মহিলারাও রয়েছেন। উদ্ধারের পর ১৭ মাইল ছাউনিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার পর্যটককে। বাকিদের ১৩ মাইল সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলের জন্য খাবার, পানীয় এবং ওষুধের পাশাপাশি পর্যাপ্ত গরম পোশাকেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: তুষারপাতের পর তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী পাহাড়ে
আরও পড়ুন: দশক পেরিয়ে বর্ষশেষে বরফ দার্জিলিঙে, কলকাতাতেও শীতলতম দিন
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ আমলে জেলে গিয়েছিলেন, ‘হারানো’ স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন ৭২ বছর পর
পর্যটকদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেয় ভারতীয় সেনা।
সেনা সূত্রে খবর, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ওই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। ইন্টারনেটও কাজ করছে না। রাস্তায় বরফ পড়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। গাড়ি পিছলে যাচ্ছে। পিক আপ নিলেও এগোচ্ছে না বলে সেনা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার আশাপাশের রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজে নেমেছে সেনা। দ্রুত গতিতে সে কাজও চলছে। যাতে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা যায়। তবে পারদ দ্রুত নামতে থাকায় সে কাজ খুব একটা সহজ হচ্ছে না। সব পর্যটকদের সুরক্ষিত ভাবে গ্যাংটকে পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে সেনা।
ছবি: ভারতীয় সেনার সৌজন্যে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy