চলতি মাসের ২৯ তারিখে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে ভারতের বক্তৃতা। তার দু’তিন দিন আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির। রাষ্ট্রীয় মদতপ্রাপ্ত সন্ত্রাসের বিষয়টি বৈঠকে তুলবার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সাউথ ব্লকে। শিখদের ধর্মস্থান কর্তারপুর সাহিবে যাওয়ার করিডরটি ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য খোলার কথাও পাকিস্তানকে বলবে দিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বলেছেন, ‘‘আলোচ্যসূচি তৈরি হচ্ছে। তবে এখনই বলে দিতে পারি, কর্তারপুর সাহিব প্রসঙ্গ বিদেশমন্ত্রী তুলবেন বৈঠকে।’’ পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া সম্প্রতি পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধুকে এই বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। গত পঁয়তাল্লিশ বছরের সালতামামি প্রকাশ্যে এনে বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি প্রোটোকল সই হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তাতে যাতায়াতের কথা ভেবে দু’দেশের ধর্মস্থানগুলির একটি তালিকা তৈরি হয়েছিল। সেই তালিকায় কর্তারপুর সাহিব ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছেন ওই ধর্মস্থানে ভিসা ছাড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এত দিনেও পাকিস্তান সাড়া দেয়নি।
গত কাল প্রকাশিত মার্কিন সরকারের রিপোর্টে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকার কড়া নিন্দা করে বলা হয়েছে, এর ফল সব চেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে ভারতকে। রবীশ আজ বলেন, ‘‘এই রিপোর্টেই প্রমাণ হল, পাক মদতপুষ্ট সীমান্তপারের সন্ত্রাস চলছেই। আফগানিস্তানেও হক্কানি নেটওয়ার্ক একই রকম সক্রিয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy