ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়া শুরু করে দিল ভারত। শুক্রবার সকালে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে সেনাবাহিনী। অনেক আগেই সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। যে কোনও সময় তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকতে সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ দিন সকালে ওড়িশা উপকূলের অদূরে আবদুল কালাম আইল্যান্ড (হুইলার আইল্যাড) থেকে উৎক্ষেপণ হয় অগ্নি-১-এর। ৭০০ কিলেমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র।
ইন্ডিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের চার নম্বর লঞ্চ প্যাড থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা ২ মিনিটে অগ্নি-১ ছোড়া হয় বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। ক্ষেপাণাস্ত্রটি নির্ভুল লক্ষ্যে এগোচ্ছে কি না জানার জন্য রেডার ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিভিন্ন টেলিমেট্রি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকেও নজর রাখা হচ্ছিল। তা ছাড়া আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবিন্দু পর্যন্ত নৌবাহিনীর একের পর এক রণতরী মোতায়েন করা হয়েছিল অগ্নি-১-এর ক্ষমতা পরখ করে নেওয়ার জন্য। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর সব পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়। তার পরই সেনার তরফে জানানো হয়, বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অগ্নি-১ ব্যবহার করতে সক্ষম। ১ টনেরও বেশি ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভার কিছুটা কমিয়ে এর পাল্লা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রে কঠিন জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মহড়া শুরু করার জন্য ভারত যে সময়কে বেছে নিয়েছে, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। চিন সাগরে মার্কিন-চিন দ্বৈরথ, সিরিয়ার বুকে ন্যাটো-রাশিয়া দ্বৈরথ এবং আইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্তে পৃথিবীর এক বিরাট অংশ এখন উত্তপ্ত। প্রায় সব শক্তিশালী দেশগুলির কাছেই কোনও না কোনও পক্ষ বেছে নেওয়ার হাতছানি। ঠিক তখনই যে কোনও সময় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জন্য ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি শুরু হওয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy