ছবি সংগৃহীত।
গত কয়েক দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদই ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠছে। আর সেটাই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসের হালের একটি রিপোর্টে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ''সোশ্যাল মিডিয়া ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শক্তিকে যেমন সাহায্য করছে, তেমন বিরোধিতাও করছে।''
'ইন্ডিয়া: রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইস্যুজ' শীর্ষক এই রিপোর্টটি অবশ্য সরকারি ভাবে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট নয়। তা সরকারি ভাবে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বক্তব্যও নয়। তবে কংগ্রেস সদস্যরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সে ব্যাপারে যাঁরা পরামর্শ দেন, সেই 'কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)'-এর নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরাই ওই রিপোর্ট দিয়েছেন।
রিপোর্ট বলছে, ''ভারতের সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিতই ছিল। হিন্দুরাই সে দেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (চার-পঞ্চমাংশ)।গত কয়েক দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদই ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠছে। আর তা নানা ভাবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে নষ্ট করে দিচ্ছে। ধর্মের নামে শুরু হয়েছে দমনপীড়ন। হিংসা। শুরু হয়েছে প্রায় অবাধ ধর্মান্তরকরণ। শুরু হয়েছে এবং উত্তরোত্তর বাড়ছে গোরক্ষার নামে হিংসা। এই সবই ভারতে ধর্মের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হয়ে উঠছে।''
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সমালোচনার মুখে কংগ্রেস নেতা
আরও পড়ুন- নয়া চুক্তিই নিশানা ট্রাম্পের
গত ৩০ অগস্ট ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, ভারত ও আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের 'টু প্লাস টু' বৈঠকে।
রিপোর্ট বলছে, ''ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের দ্রুত উত্থান যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশের সমর্থন পাচ্ছে, তেমনই তার বিরোধিতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফেসবুক, টুইটারে। ২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী শক্তি ভারতে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই সেখানে ধর্মের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।''
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy