অভিযোগ, উপযুক্ত কাগজপত্রের অভাবে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল। তাই হাসপাতালের বাইরে নর্দমার পাশেই প্রসবে বাধ্য হলেন এক আদিবাসী মহিলা! ওডিশার কোরাপুট জেলায় শুক্রবারের এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এর আগে এই ওডিশাতেই শববাহী যান না মেলায় স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন কালাহান্ডির বাসিন্দা দানা মাঝি। সেই মর্মান্তিক ছবিটা দেখেছিল গোটা দেশ। এ বার আবার ওডিশাতেই এমন ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক।
যদিও নর্দমার ধারে প্রসব হয়ে যাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই টনক নড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের এসএনসিইউতে ভর্তি নেওয়া হয়। সেখানেই এখন দেখভাল করা হচ্ছে মা এবং সদ্যোজাতের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মা ও শিশু দু’জনের অবস্থাই স্থিতিশীল।
বছর তিরিশের অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা দাসমন্তপুর ব্লকের জানিগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী জ্বর নিয়ে গত বুধবার থেকে শহিদ লক্ষ্মণ নায়েক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। তাই গত কাল স্বামীকে দেখতেই মা আর বোনকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় আচমকাই প্রসববেদনা ওঠে তাঁর।
ওই মহিলার মায়ের অভিযোগ, প্রসববেদনা ওঠায় স্ত্রীরোগ বিভাগে মেয়েকে ভর্তি করাতে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে উপযুক্ত কাগজপত্র চান। তা না থাকায় তাঁর মেয়েকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। পরে ওই হাসপাতাল চত্বরেই নর্দমার কাছে প্রসব হয়ে যায় তাঁর মেয়ের। তবে অভিযোগ মানেনি হাসপাতাল। কোরাপুট জেলার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ললিত মোহন রথের দাবি, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েই ওই মহিলার প্রসব হয়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চেক-আপের জন্য এক বারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy