—রয়টার্সের তোলা ফাইল চিত্র।
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বানচাল করতে এ বার উঠেপড়ে লাগল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। আলিগড়ের সব স্কুলে তো রীতি মতো হুমকি চিঠি দিয়েছে ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’। তাঁদের দাবি, বড়দিনের উৎসব পালন আসলে হিন্দু পড়ুয়াদের জোর করে ধর্মান্তকরণের একটি ধাপ মাত্র, ফলে তা বন্ধ রাখতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারির উৎসব উদ্যাপন বন্ধ রাখলেই শুধু হবে না, স্কুলকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে কোনও পড়ুয়া ওই দিনগুলোয় কোনও উপহার পর্যন্ত না নিয়ে আসে। এসব অমান্য করলে তার ফলাফলের দায়িত্ব নিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে।
‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’-এর আলিগড় শাখার প্রেসিডেন্ট সোনু সবিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির কাছ থেকে চিঠির উত্তর পাওয়ার পরই পরবর্তী কর্মপন্থা স্থির করা হবে।”
আরও পড়ুন
রাস্তায় থুতু ফেললেই খবরের কাগজে ছবি!
বাংলায় ৩৪! শুনে হতবাক মোদীর ভক্তকুল
ঘাটশিলা থেকে শহরে এসে নিখোঁজ তরুণী
আগরায় আবার, ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে সুর মিলিয়েছে ‘বিশ্ব হিন্দু মহাসংঘ’ নামের আরও একটি সংগঠন। ওই গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, নতুন বছরের উৎসব পালনের সময় হোটেল-রেস্তরাঁগুলিতে ‘অশালীন আচরণ’ রুখতে জোরদার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করা হবে।
আলিগড়ের অনেক স্কুলই এই হুমকি চিঠি পাওয়ার পর যারপরনাই আতঙ্কিত। উদ্বেগ প্রকাশ করে আলিগড়ের পাবলিক স্কুল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি-র প্রেসিডেন্ট প্রবীণ অগ্রবাল বলেন, “প্রতি বছর আমরা সব সম্প্রদায়ের উৎসব উদ্যাপন করি এবং এগুলো আমাদের ছাত্রছাত্রীদের দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।”
তবে এই ধরণের হুমকির কথা প্রকাশ্যে আসার পর, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসনের তরফে সব জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সব জেলা পুলিশ সুপারকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার। উৎসবের সময় স্কুলগুলিকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে উপ-মুখমন্ত্রী দীনেশ শর্মা বলেন, “সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান বজায় রাখার জন্য স্পষ্ট নীতি রয়েছে রাজ্য সরকারের। কোনও ধর্মের উৎসব উদ্যাপনেই বাধা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy