Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Marijuana

হিমাচলে আইনসিদ্ধ হতে পারে গাঁজার চাষ, ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক ও  বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও একই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

গাঁজা গাছ। ফাইল চিত্র।

গাঁজা গাছ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩০
Share: Save:

উত্তরাখণ্ডের পর হিমাচলেও কি আইনসিদ্ধ হতে চলেছে গাঁজার চাষ? সেই রকম ইঙ্গিতই দিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টির আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে গাঁজার চাষে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

হিমাচল প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই গাঁজা চাষকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও একই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, হিমাচলের মালানা এলাকার গাঁজা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। শুধু গাঁজা নয়, গাঁজা গাছ থেকে বানানো মালানার চরসও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌলতে। যদিও আইনি বৈধতা না থাকায় বাড়ছে ড্রাগ মাফিয়াদের দাপট। আইন সম্মত ভাবে চাষ করা হলে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, হিমাচলের পিছিয়ে পড়া এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে দাবি তাঁদের।

আরও পড়ুন: ‘আদালত নয়, রাফাল চুক্তির খুঁটিনাটি বিচার করবেন বিশেষজ্ঞরা’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

কিছু দিন আগে উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষে শর্তসাপেক্ষ সম্মতি দেয় সরকার। এলাকার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই এই আইন করা হয়েছিল। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধর্মীয় কারণে পুজোর উপাচার হিসেবে গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন আছে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিও ওষুধ বানানোর উপকরণ হিসেবে মারিজুয়ানা ব্যবহার করে থাকে। একটিই গাছ পরিচিত গাঁজা, মারিজুয়ানা, ক্যানাবিস ইত্যাদি নামে।

আরও পড়ুন: ‘গাজা’কে হারিয়ে ‘বাহুবলী’র লক্ষ্যভেদ! কক্ষপথে পৌঁছে কাজ শুরু করল জিস্যাট-২৯

গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা অবশ্য ভারতবর্ষেই প্রথম, এমন নয়। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শর্তসাপেক্ষে গাঁজার চাষ বৈধ। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ব্যবহার করা যায় শুধুমাত্র ওষুধ হিসেবেই।

হিমাচলেও গাঁজা চাষে বৈধতা দেওয়া হলেও থাকবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। বেড়াতে গিয়ে পর্যটকেরা যাতে নেশার জন্য গাঁজায় টান দিতে না পারেন, সেই বিষয়টি ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে সরকারের তরফে। এই ইঙ্গিতই দিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

অন্য বিষয়গুলি:

Marijuana Himachal Pradesh Cannabis Hemp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE