ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের হাপুরে গণপিটুনি নিয়ে পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে বলে দাবি করলেন ঘটনার শিকার সামাউদ্দিন। সত্যি কথা বলার ফলে তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপরে হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার।
উত্তরপ্রদেশের হাপুরে ১৮ জুন কাসিম নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারে জনতা। মারধর করা হয় সামাউদ্দিনকেও। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বছর চৌষট্টির সামাউদ্দিনকে মারধর করে গোহত্যা করার কথা স্বীকার করাচ্ছে এক দল লোক। পুলিশ অবশ্য দাবি করে, মোটরবাইক দুর্ঘটনার জেরেই এই ঘটনা।
ঘটনার প্রায় এক মাস পরে আজ মুখ খুলেছেন সামাউদ্দিন। তাঁর দাবি, গোহত্যা করার ‘অপরাধে’ই সে দিন কাসিম এবং তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। সামাউদ্দিনের কথায়, ‘‘আমি আর আমার প্রতিবেশী হাসান হাপুরের বিজহেড়া গ্রামের কাছে খামার থেকে গরু-মোষের খাবার কিনতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখলাম ওই গ্রামের এক দল লোক কাসিমের উপরে হামলা করেছে। জানতে চাইলাম, ওকে মারছ কেন? ওরা বলল, দাঁড়া তোকেও দেখছি।’’
সামাউদ্দিনের দাবি, এর পরে তাঁকেও মারধর শুরু করে জনতা। মারধরে তিনি প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে আর কাসিমকে টেনে স্থানীয় দেবী মন্দিরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কখন পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে তা তাঁর মনেই নেই। সামাউদ্দিনের দাবি, পুলিশ আদৌ হাসপাতালে এসে তাঁর জবানবন্দি নেয়নি। তবে অ্যাম্বুল্যান্সে আসার সময়ে যে কোনও কাগজের উপরে তাঁর আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছিল সেটা মনে আছে। কারণ তখন হাতে খুব যন্ত্রণা হয়েছিল।
হাপুরের মদাপুর গ্রামে থাকেন সামাউদ্দিন। পাশের গ্রাম হিন্দালপুরে বাড়ি তাঁর বন্ধু দীনেশ তোমরের। দীনেশের দাবি, ঘটনার পরে এক পুলিশ অফিসার এসে সামাউদ্দিনের ভাই ইয়াসিন, মদাপুরের পঞ্চায়েত প্রধান কামিল এবং তাঁকে হুমকি দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy