দিন-দুপুরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মুখ পুড়ল গুয়াহাটি পুলিশের। গুয়াহাটির নুনমাটি শোধনাগার চত্বরের ভিতরে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, গুয়াহাটি কলেজের এক ছাত্রী গত কাল জেলা গ্রন্থাগারে দু’টি বই ফেরত দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয়। আনন্দনগর থেকে হেঁটে তাঁর লুইত নগরে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে অটোয় নুনমাটি গিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে এক সঙ্গে বাসে জেলা গ্রন্থাগারে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
ছাত্রীটির বন্ধু সাদ্দাম ও রশিদুল তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ফোনে গল্প করতে করতেই হাঁটছিল মেয়েটি। আচমকা তাঁরা ফোনে চিত্কার শোনে। তারপরই কেউ ফোনের ওপারে মেয়েটির মুখ বন্ধ করে দেয়। দুই বন্ধু নিজেরা মেয়েটির খোঁজে লুইত নগরে আসে। পরে তাঁরাই পথের পাশে জঙ্গলে মেয়েটির নগ্ন, গলা কাটা দেহ খুঁজে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনার খবর ছড়ানোর পর স্থানীয় জনতা ছাত্রীটির দেহ নিয়ে পথ অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, সিআইএসএফ-এর নজরদারি চলা এই জনবসতি এলাকায় এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটতে পারে! পরে বিরাট পুলিশ ও আধা সেনা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ কমিশনার মুকেশ অগ্রবাল বলেন, গুয়াহাটির রাস্তায় এমন ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আপাতত পারিপার্শ্বিক প্রমাণ দেখে ঘটনাটিকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দলও গড়া হয়েছে। ছাত্রীটির দুই বন্ধুর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। এ দিকে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোধনাগার কর্তৃপক্ষকে ওই এলাকার পাহাড়ি পথে জঙ্গল পরিষ্কার করা ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy