Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বিভাজনই চায় বিজেপি

গুজরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পটেলদের মতো সম্প্রদায়। ক্ষোভের আঁচ দেখা যাচ্ছে আদিবাসী-প্রধান গ্রামগুলিতেও। বিজেপি মনে করছে, এই ক্ষোভ ভোটে প্রতিফলিত হওয়া আটকাতে পারে একমাত্র ধর্মীয় বিভাজন। সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৭
Share: Save:

পাকিস্তানি চক্রান্তের অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়লেও বিজেপি নেতৃত্ব তাতে বিব্রত নন। বরং গুজরাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে এই বিভাজনটাই পদ্মে ভোট টানার সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই কারণেই মনমোহন সিংহকে জবাব দিতে রাতে আসরে নামানো হয় অরুণ জেটলির মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে। তাঁর পাশে থাকেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

গুজরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পটেলদের মতো সম্প্রদায়। ক্ষোভের আঁচ দেখা যাচ্ছে আদিবাসী-প্রধান গ্রামগুলিতেও। বিজেপি মনে করছে, এই ক্ষোভ ভোটে প্রতিফলিত হওয়া আটকাতে পারে একমাত্র ধর্মীয় বিভাজন। সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদ। রবিবার মোদী অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গে গুজরাতের বিজেপি নেতারা ভোটারদের কাছে বলতে শুরু করেছেন— আহমেদ পটেল আসলে পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী। এর পরে সোমবার পূর্বসুরি মনমোহন মোদীর বিরুদ্ধে যে ভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন, তাকেও মোদী ‘গুজরাতি অস্মিতা’ হিসাবেই ব্যবহার করবেন।

এই জন্যই জেটলি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন— পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য কংগ্রেস নেতারা কোথায় ক্ষমা চাইবেন, উল্টে তাঁরা এখন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। প্রশ্ন করা হয়, মনমোহন যে বলছেন, গুজরাত নিয়ে নৈশভোজে কোনও কথা হয়নি, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কেই আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল? জেটলি বলেন, ‘‘যাঁরা আলোচনা করেছেন, তাঁরাই বলতে পারেন কী কথা হয়েছে। কিন্তু বৈঠক যে হয়েছে, মোদী তো সেই কথাটাই বলেছেন। সত্যিটা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী কেন ক্ষমা চাইবেন?’’

গুজরাত নির্বাচন নিয়ে সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE