স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে খুন করছে স্বামীকে। ছবির অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন স্ত্রী। ঘটনাচক্রে কাজ থেকে সে সময়ই বাড়িতে ফিরে আসেন স্বামী। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় স্ত্রী। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করে স্ত্রী। তারপর দেহ ভাসিয়ে দেয় খালের জলে।
প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুনের এই ঘটনাটি গাজিয়াবাদে ঘটেছে ১২ মার্চ।সন্দেহ এড়াতে এর একদিন পরে বিজয়নগর পুলিশ স্টেশনে স্বামী অজয়ের নামে মিসিং ডায়েরি করে স্ত্রী। কিন্তু গতকাল রবিবার স্থানীয় হিন্দন খালের জলে ভেসে ওঠে অজয়ের দেহ। তখন পুলিশ ডেকে পাঠায় অজয়ের স্ত্রীকে। পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অজয়ের স্ত্রী। স্বীকার করে নেয় প্রেমিক গুড্ডুর সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের কথা। দেহ খালের জলে ভাসাতে অন্য একজনের সাহায্যের কথাও পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছে ওই মহিলা।
পুলিশ রেকর্ড বলছে, মৃত অজয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকবার জেলেও গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে মেরঠ জেলে থাকার সময় তার সঙ্গে দেখা হয় গুড্ডুর। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে গাজিয়াবাদের সিদ্ধার্থ বিহারে থাকত অজয়। সে সময়ই তার বাড়িতে যাওয়া-আসা শুরু করে গুড্ডু। পরে অজয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে।
কাজ থেকে রোজ দেরিতে বাড়ি ফিরত অজয়। সেই সুযোগে তার বাড়িতে গিয়ে অজয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে গুড্ডু। ১২ মার্চ রাত ১০.১৫টা নাগাদ বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে দেখে গুড্ডুকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে অজয়। বাড়িতে তখন আরও একজন উপস্থিত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে হাতাহাতি বাধে অজয় ও গুড্ডুর মধ্যে। গুড্ডু তখন তৃতীয় ব্যক্তি ও তার প্রেমিকার সাহায্য নিয়ে অজয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর তিনজনে মিলে অজয়ের দেহ একটি ব্যাগে ভরে ফেলে আসে হিন্দন খালে।
এই ঘটনায় অজয়ের স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
আরও পড়ুন: ‘ঠাকুমা এই ঘরেই জন্মেছিলেন,’ ইন্দিরার স্মৃতিচারণ করে ছবি শেয়ার করলেন প্রিয়ঙ্কা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy