Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লিতে ভোটের পথেই কেন্দ্র, ঝাঁপাচ্ছে সব দল

আট মাসের প্রতীক্ষা শেষ হল মঙ্গলবার। অরবিন্দ কেজরীবালের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যপাটের দখল নিতে কোনও দল এগিয়ে না আসায় আজ দিল্লি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাব অনুমোদন করার পরে রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষরও করে দিয়েছেন। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। সব দল রাজি থাকায় ওই মাসেই রাজধানীতে নির্বাচন সেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৯
Share: Save:

আট মাসের প্রতীক্ষা শেষ হল মঙ্গলবার। অরবিন্দ কেজরীবালের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যপাটের দখল নিতে কোনও দল এগিয়ে না আসায় আজ দিল্লি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাব অনুমোদন করার পরে রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষরও করে দিয়েছেন। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। সব দল রাজি থাকায় ওই মাসেই রাজধানীতে নির্বাচন সেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রও।

হারানো ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আজ থেকেই নেমে পড়েছেন আম আদমি নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। বিজেপির দিল্লি সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় যখন দাবি করেছেন, “দল বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।” তত ক্ষণে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে ভোটের প্রস্তুতি আজ থেকেই শুরু করে দেয় আপ শিবির। কেজরীবালের ভালই বুঝতে পারছেন, আপের মূল লড়াইটি হতে চলেছে বিজেপির সঙ্গে। আর কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকায় এ বার দিল্লি দখলে বিজেপি যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তা-ও জানেন আপ নেতৃত্ব।

তাই প্রথম থেকেই দু’টি বিষয় সামনে রেখে প্রচারে নামতে চাইছে আপ শিবির। প্রথমত, বিজেপির দুর্নীতি। মাস দেড়েক আগে কী ভাবে আপ বিধায়কদের টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপি সরকার গড়ার চেষ্টা করেছিল, তা প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে দল। দ্বিতীয়ত, মোদীর সঙ্গে সরাসরি টক্কর এড়ানো। এর আগে লোকসভার লড়াইয়ে মোদীর বিরুদ্ধে একেবারেই সুবিধে করতে পারেননি কেজরীবাল। তাই এ বার প্রথম থেকেই মোদীর সঙ্গে টক্করে না যাওয়ার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেজরীবাল। মোদীর ক্যারিশমার সঙ্গে লড়াই যে সহজ হবে না, তা বুঝতে পেরে আজ দিল্লিবাসীকে কেজরীবালের বার্তা, “নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার লড়াই নয়। আমার লড়াই হবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সতীশ উপাধ্যায় বা জগদীশ মুখীর বিরুদ্ধে।”

বিজেপির পরিকল্পনা অবশ্য ভিন্ন। হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রের মতো দিল্লিতেও নরেন্দ্র মোদীকেই প্রচারের প্রধান মুখ করে নির্বাচনে নামতে চাইছে তারা। তাই কেজরীবালের প্রতিপক্ষ হিসাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কারও নাম ঘোষণা না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছে দল। পরিবর্তে ভোট চাওয়া হবে মোদীর নামে। দল মনে করছে, দিল্লিতে বিজেপির শক্তি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনে জয় পেয়েছে দল। জয় এসেছে দু’টি রাজ্যের নির্বাচনেও। তাই দল চাইছে মোদী হাওয়া কাজে লাগানোর পাশাপাশি ছট পুজোয় ছুটি ও ’৮৪-র দাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণার মতো বিষয়কে প্রচারে আনতে।

বিজেপি সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, এক বছর আগে দিল্লির জনমানসে কেজরীবালের যা প্রভাব ছিল, এখন আর তা নেই। পড়তির দিকে আপের জনসমর্থনও। সেটা বুঝতে পেরে প্রথম থেকেই দ্রুত ভোটের পক্ষ থেকে সওয়াল করে আসছিলেন আপ নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপির রণকৌশল ছিল দেরি করে ভোটে যাওয়া। কিন্তু বাদ সাধে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লিতে সরকার গড়া নিয়ে অযথা ঢিলেমি দেখে সম্প্রতি কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই বিষয়টি আর ফেলে না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE