মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-এর কর্মীদের ফোনে বেআইনি ভাবে আড়িপাতা-কাণ্ডে অভিযুক্ত মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডেকে চার দিনের সিবিআই হেফজতে পাঠাল আদালত। এনএসসির কো-লোকেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সঞ্জয়কে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার তাঁকে জেরা করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটিও।
ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে ওই সংস্থাটি। অভিযোগ, এনএসসির প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের পাশাপাশি কো-লোকেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত রয়েছেন সঞ্জয়ও। চিত্রা এবং আনন্দের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করেছে ইডি।
২০০০ সালের এপ্রিলে মুম্বই পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দেন সঞ্জয়। তবে তা গৃহীত হয়নি। যদিও আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলে। ২০০৭ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছাঅবসরের আবেদন করলেও পরের বছরের অক্টোবরে তা প্রত্যাহার করে নেন সঞ্জয়। আদালতে ইডি আরও জানায়, ২০০১ সালেই আইসেক সিকিউরিটিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা খোলেন এই প্রাক্তন পুলিশকর্তা। সে সময় মুম্বই পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। মুম্বই পুলিশের কাজের পাশাপাশি পরোক্ষে ওই সংস্থার কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেন সঞ্জয়।
আদালতের ইডির আরও দাবি, এনএসসির কর্মীদের ফোনে বেআইনি ভাবে নজরদারির জন্য সঞ্জয়ের ওই সংস্থার সঙ্গে ৪.৫৪ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন চিত্রা এবং আনন্দ। এনএসসির কর্মীরা কো-লোকেশন দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করছেন কি না, তা জানার জন্যই নাকি ২০০৯ সাল থেকে ২০০১৭ সাল পর্যন্ত আড়িপাতা চলেছিল। পরে সেই নজরদারির যন্ত্রগুলি বৈদ্যুতিন বর্জ্য হিসাবে নষ্ট করে ফেলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy