Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

বর্ষা আসার আগেই অসমে বন্যার দাপট

প্রাক্-বর্ষার বৃষ্টির দাপটে রাজ্যের উজানি অংশে বন্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি লখিমপুর, ধেমাজি, শিবসাগর, যোরহাট ও ডিব্রুগড়ে। বন্যাকবলিতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। জলতল বাড়ায় নিপকো রাঙানদীর জল ছাড়ছে। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

জল বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের। মাপা হচ্ছে সেই জলস্তর। শনিবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

জল বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের। মাপা হচ্ছে সেই জলস্তর। শনিবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০৩
Share: Save:

প্রাক্-বর্ষার বৃষ্টির দাপটে রাজ্যের উজানি অংশে বন্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি লখিমপুর, ধেমাজি, শিবসাগর, যোরহাট ও ডিব্রুগড়ে। বন্যাকবলিতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। জলতল বাড়ায় নিপকো রাঙানদীর জল ছাড়ছে। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

আজ বন্যার জলে ডিব্রুগড়ের নিতাইপুখুরি এলাকায় দু’জন ভেসে গিয়েছে। গোহপুরের ছয়দুয়ার এলাকায় ভোটের স্ট্রংরুমেও যে কোনও সময় জল ঢুকতে পারে। ঢকুয়াখানার চারিকরিয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে থাকা বাঁধ জলের চাপে ভেঙে পড়েছে। শিবসাগরে সেপন-সুনপোয়া সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। লখিমপুরের নাওবৈচায় ১৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত। চড়াইদেওয়ের বিভিন্ন গ্রামেও জল ঢুকছে। পশ্চিম যোরহাটের শোলাধরায় ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যোরহাটের বনমালীপুরে জাতীয় সড়ক ভেসে গিয়েছে। সেলেংঘাটে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কও জলের তলায়। থাওরায় দিসাং ও ডিমৌতে দিহিং নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে।

রাজ্যের ২৪টি জেলায় প্রাক বর্ষার বৃষ্টির পরিমাণ এ বার গত বারের তুলনায় গড়ে দেড়শো শতাংশ বেশি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃষ্টির জেরে বন্যপ্রাণীরাও আশ্রয়ের খোঁজে জনবসতিতে ঢুকে পড়ছে। শিবসাগরের লাকুয়াতে চিতাবাঘের পাল্লায় পড়েন বিতুল সিয়াম নামে এক ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি চিতাবাঘের সঙ্গে লড়েন। পরে তাঁর চেঁচামেচিতে গ্রামবাসীরা জড়ো হলে চিতাবাঘটি পালায়। জখম অবস্থায়ত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিবসাগরেও আজ চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার খবর এসেছে। খুমটাইয়ের বগরিয়নিতে হাতির পাল গ্রামে ঢুকে পড়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Brahmaputra assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE