প্রতীকী ছবি।
দিনের পর দিন মেয়েকে উত্যক্ত করত পড়শি যুবক। বাড়ি থেকে বেরনোই মুশকিল হয়ে পড়ে মেয়েটির। প্রতিবাদ করেছিলেন তার বাবা। প্রতিবাদের ‘ফল’ও মিলল হাতেনাতে। বাড়িতে ঢুকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পড়শি যুবক আর তার দুই বন্ধু পুড়িয়ে মারল মেয়েটির বাবাকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামোহতে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, মৃত ওই ব্যক্তির নাম নর্মদা সাহু। তাঁর বাড়ির পাশেই শচীন সাহু নামে অভিযুক্ত ওই যুবক থাকে। নর্মদার মেয়েকে কয়েক মাস ধরেই শচীন উত্যক্ত করত। ইদানীং তা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়। এতটাই যে, ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরতে পারত না। তার উপর চলত হুমকি, শাসানি। বাড়িতে তা জানানোর পরই কিশোরীর বাবা নর্মদা ওই পড়শি যুবককে সাবধান হতে বলেছিলেন। তা না হলে তিনি পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও হুঁসিয়ারি দেন। কিন্তু, এ কথায় কাজ তো হয়নি, উল্টে কিশোরীর উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ ১৫ অগস্ট কিশোরীর বাবা শচীনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ পড়ুয়ার
স্থানীয়েরা জানান, তা জানতে পেরে শচীন এবং তার দুই বন্ধু রাজকুমার-রামকুমারকে নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে যায়। অভিযোগ ফিরিয়ে না নিলে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু নর্মদা ভয় পাননি। অভিযোগ ফিরিয়েও নেননি। রবিবার ফের তারা তিন জন জোর জবরদস্তি তাঁদের বাড়িতে ঢোকে। নর্মদা তখন বাড়িতেই ছিলেন। নর্মদার সারা গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। নর্মদা ও তাঁর পরিবারের আর্তনাদ শুনে স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। তত ক্ষণে অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তেরা। উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি নর্মদাকে। পরে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy