গাজিপুর সীমানায় ইতিমধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া, কংক্রিটের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ছবি: পিটিআই।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার পুনরাবৃত্তি হোক, তা কোনও পক্ষই চাইছে না। তবে তা সত্ত্বেও শনিবার আন্দোলনকারী কৃষকদের দেশজোড়া ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে আন্দোলনকারী এবং দিল্লি পুলিশ— দুই শিবিরেই। কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের আশঙ্কা, তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুল করার জন্য হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হতে পারে। অন্য দিকে, বিশ্বের নজরে উঠে আসা এই কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনও রকমের হিংসা না ছড়ায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে কসুর করছে না দিল্লি পুলিশ। দিল্লির উপকণ্ঠে ৫০ হাজার পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত জলকামানও।
শনিবারের ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি যে শান্তিপূর্ণ করাই তাঁদের লক্ষ্য, তা শুক্রবারই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। দেশ জু়ড়ে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্ত জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ‘চাক্কা জ্যাম’ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। যদিও দিল্লিমুখী যে সব রাস্তায় মাস দুয়েক ধরে অবরোধ চলছে, সেগুলি ছাড়া বাকি রাস্তা খোলা থাকবে।
এই অবরোধ কর্মসূচির আওতা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ সব জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কী কারণে দিল্লির রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে না, তা জানিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের সভাপতি রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে আন্দোলনের জায়গায় ইতিমধ্যেই চাক্কা জ্যামের মতোই অবরোধ রয়েছে। ফলে সেখানে নতুন করে এই কর্মসূচি পালন করার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি, আলোচনার জন্য যে কোনও সময় দিল্লি থেকে ডাক আসতে পারে। তাই রাজধানীর রাস্তা খোলা রাখা হবে।’’
তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন রাকেশ। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে কিছু মানুষজন। আমাদের কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে। সে জন্য ওই রাজ্যগুলিতে চাক্কা জ্যাম করা হবে না।’’
কৃষক নেতাদের পাশাপাশি এই কর্মসূচি ঘিরে সাজসাজ রব দিল্লি পুলিশ মহলেও। শুক্রবার দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিল্লিতে ১২টি মেট্রো স্টেশনে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের প্রায় ৫০ হাজার কর্মীর পাশাপাশি থাকছে আধাসামরিক বাহিনীও। গাজিপুর সীমানায় ইতিমধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া, কংক্রিটের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানা তথা দিল্লি-এনসিআর এলাকায় পুলিশকর্মীদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে লালকেল্লাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy