রবিবারই পুত্র আকাশ আনন্দের বদলে বিএসপির সর্বভারতীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পিতা আনন্দ কুমার। বুধবার দলনেত্রী মায়াবতী সে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন তাঁকেও। বিএসপি সভানেত্রী তাঁর ভাই আনন্দের বদলে রণধীর বেণীওয়ালকে দলের সর্বভারতীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এক্স হ্যান্ডলে সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে অবশ্য মায়ার দাবি, আনন্দের ইচ্ছাতেই এই পরিবর্তন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আনন্দ কুমার, বিএসপির জাতীয় সহ-সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে নিঃস্বার্থ ভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন। সম্প্রতি জাতীয় সমন্বয়কও হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দল এবং আন্দোলনের স্বার্থে একটি মাত্র পদে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ইচ্ছাকে আমরা স্বাগত জানাই।’’
রবিবার বিএসপির জাতীয় সমন্বয়কের পদ থেকে ভাইপো আকাশকে সরিয়ে মায়বতী নতুন দু’জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন আকাশের বাবা আনন্দ কুমার। অন্য জন, রাজ্যসভা সাংসদ রামজি গৌতম। এর পরে সোমবার আকাশকে দল থেকেই বহিষ্কার করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ভাইপোকে বহিষ্কারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মায়া বলেন, ‘‘কৃতকর্মের জন্য ওর (আকাশ) মনে কোনও অনুতাপ দেখা যায়নি। এখনও রয়েছে অহঙ্কার। তাই এই পদক্ষেপ।’’
প্রসঙ্গত, এক বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পিসির ‘রোষে’ পড়লেন আকাশ। ২০২৩ সালে প্রথম বার আকাশকে জাতীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। কিন্তু লোকসভা ভোটপর্বের সময় হঠাৎই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় বিএসপির তরফে জানানো হয়েছিল, আকাশকে আরও ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ’ দিতেই এই পদক্ষেপ। লোকসভা ভোট মেটার পরেই অবশ্য ভাইপোকে পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পিসি।
আরও পড়ুন:
মায়াবতী অতীতে আকাশকেই দলে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পদ ফিরিয়ে দেওয়ার পরে আর আকাশকে উত্তরসূরি ঘোষণা করেননি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন দলিত মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার মায়াবতী জানিয়েছেন, তাঁর জীবদ্দশায় কারও নাম ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ হিসাবে ঘোষণা করবেন না। আকাশ তাঁর শ্বশুর তথা বহিষ্কৃত বিএসপি নেতা অশোক সিদ্ধার্থের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘দলের ক্ষতি করতে’ সক্রিয় ছিলেন বলে বিএসপির একটি সূত্রের খবর।