দিল্লি পুলিশ। ছবি—পিটিআই।
রিহানা থেকে তাপসী পন্নু, দেশ থেকে বিদেশ— কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন অনেকে। কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে টুইট করেন কিশোরী পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ‘টুলকিট’ শেয়ার করেছিলেন গ্রেটা। এ বার সেই টুলকিট নির্মাতাদের ইমেল আইডি, ইউআরএল এবং সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুগল এবং বিভিন্ন সমাজমাধ্যম সংস্থার কাছে জানতে চাইল দিল্লি পুলিশ।
বৃহস্পতিবারই ওই ‘টুলকিট’ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, এই ‘টুলকিট’-এর মাধ্যমে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালানো হচ্ছে। ‘টুলকিট’ এর নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতাকে প্রশ্রয় দেওয়া) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের ডেপুটি কমিশনার অন্বেশ রায় একটি চিঠি লিখেছেন গুগল-সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি সংস্থাকে। সেখানে ‘টুলকিট’ প্রস্তুতকারক এবং সেখানে বিভিন্ন নথি আপলোডকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ইমেল আইডি, ডোমেন ইউআরএল এবং যে সব সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে ‘টুলকিট’ শেয়ার করা হয়েছে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে ওই প্রযুক্তি সংস্থাগুলির থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, গুগল ডকুমেন্টের মাধ্যমে তথ্যগুলি আপলোড করে পরে তা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার পর তদন্ত আরও এগোবে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। পুলিশের দাবি, নথি পরীক্ষা করলেই জানা যাবে, কারা সেগুলি লিখেছেন, সম্পাদনা এবং প্রকাশ করেছেন। তাঁদের চিহ্নিত করা জরুরি বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।
‘টুলকিট’-এর বিষয়ে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই টুলকিটের মাধ্যমে সরকার বিরোধী চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ঐক্য, সংহতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy