তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তাঁর সাফল্য আকাশছোঁয়া। টেসলা ও স্পেসএক্স-এর কর্তা ইলন মাস্কের মালিকানায় রয়েছে এক্স হ্যান্ডলও। মাস্ক বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রমই তাঁর সাফল্যের মূল কথা। কখনও কখনও সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজও করেন তিনি। তবে সাফল্য পেতে হলেই যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যেতে হবে, তা নয়। মাস্ক পরামর্শ দিচ্ছেন, মাথা গুঁজে কাজ নয় বরং ‘স্মার্ট ওয়ার্ক’ করলেই সাফল্য দ্রুত আসবে। লক্ষ্যপূরণ করতে হলে কী ভাবে এগোতে হবে, তার জন্য ৫ কৌশল বলেছেন তিনি।
রোজ ৬ ঘণ্টা ঘুম
৭-৮ ঘণ্টা না হলেও প্রতি দিন ৬ ঘণ্টা টানা ঘুমোতেই হবে। এমনটাই মত টেসলা কর্তার। জানাচ্ছেন, যতই ব্যস্ততা থাক, রাতে ৬ ঘণ্টা টানা ঘুমোলে তবেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া ও সকাল ৭টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারলে, সারা দিনের কাজ ভাল মতোই হবে। ক্লান্তি বা ঝিমুনি আসবে না। আলসেমিও দূর হবে।
‘স্মার্ট ওয়ার্ক’
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই ভাবে কাজ করে গেলে ভুলভ্রান্তি যেমন হবে, তেমনই কাজে একঘেয়েমিও এসে যাবে। তাই ‘স্মার্ট ওয়ার্ক’ করারই পরামর্শ দিলেন মাস্ক। তাঁর বক্তব্য, কাজ করতে হবে ‘পোমোডোরো’ পদ্ধতিতে। কী সেই পদ্ধতি? বিরতি নিয়ে কাজ করতে হবে। টানা ২৫ মিনিট কাজ করার পরে ৫ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিতেই হবে। ঘণ্টা দেড়েক এই ভাবে কাজ করার পরে টানা ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মনোযোগ, একাগ্রতা বাড়বে বলে দাবি।
আরও পড়ুন:
শরীরচর্চা
প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে হবে। হাঁটাহাঁটি, স্পট জগিং, দৌড়নো, যোগব্যায়াম অথবা যে কোনও রকম শারীরিক কসরত করা যাবে। এতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমবে।
আগামী দিনের পরিকল্পনা
প্রতি দিন কাজ শেষের পরে আগামী দিনের পরিকল্পনা করে রাখা জরুরি। পর দিন ঠিক কী কী কাজ করবেন, কত ক্ষণ কাজ করা যাবে, তার একটা ছক করে রাখলে আর সমস্যা হবে না। প্রতি দিনের কাজের লক্ষ্যপূরণও করা যাবে সহজে।
পড়াশোনা জরুরি
কাজের মান ও গতি বাড়াতে গেলে পড়াশোনা করতেই হবে, তা যে কোনও কাজই হোক। মাস্ক জানাচ্ছেন, তিনি নিয়ম করে পড়াশোনা করেন। এতেই কাজ সম্পর্কিত বিষয়ে নিত্যনতুন ভাবনা তাঁর মাথায় আসে। এই বিষয়ে মনোরোগ চিকিৎসক শর্মিলা সরকারেরও মত, কাজ সম্পর্কিত বিষয়েই ‘হোমওয়ার্ক’ করতে পারলে খুব ভাল হয়। যত বেশি পড়বেন ও জানবেন, ততই বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে মোবাইল বা গ্যাজেটে মত্ত না থেকে বরং নির্দিষ্ট সময় রাখুন পড়াশোনার জন্য। এতে লাভ হবে অনেক।